Homeসব খবরজাতীয়আজ থেকে শিশুদের খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল

আজ থেকে শিশুদের খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল

আজ থেকে দুই সপ্তাহ ধরে দেশের ১ হাজার ৯০৫টি কেন্দ্রে একযোগে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কর্মসূচি অনুযায়ী, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩১ শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪২৭ শিশুকে লাল রঙের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’-এর অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসাবে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসির তথ্যমতে, জাতীয় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইনে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ ও মহল্লায়-মহল্লায় নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। আর এসব কার্যক্রম সম্পাদন করতে ৫ হাজার ৮৮০ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৫ হাজার ৭১৫ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ১৮৩ ও দ্বিতীয় শ্রেণির ১০৩ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদারকের ভূমিকায় থাকবেন ১০ জন। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৫৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বলা নিষ্প্রয়োজন, ডিএনসিসির আলোচ্য কর্মসূচিটি এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। শিশুদের বেঁচে থাকা, তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উপরন্তু, ভিটামিন ‘এ’ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে শিশুদের রাতকানা, অন্ধত্বসহ চোখের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, তাদের রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়াসহ মৃত্যুও ঘটতে পারে। ডিএনসিসি শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তাতে নির্দিষ্ট এলাকাগুলোর অভিভাবকদের অবশ্যই অংশ নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে সামান্য অবহেলা তাদের সন্তানদের জীবনে ঘটাতে পারে অনাকাক্সিক্ষত বিপর্যয়। দ্বিতীয় কথা, শুধু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নয়, দক্ষিণ ঢাকাতেও একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। তা না হলে রাজধানীর অর্ধেক শিশুই এই সুবিধাবঞ্চিত থেকে যাবে।

Advertisement