Homeসব খবরবিনোদনহেলিকপ্টারে প্রতিবন্ধী ভক্তের বাড়িতে অনন্ত-বর্ষা, নিলেন চিকিৎসার দায়িত্ব

হেলিকপ্টারে প্রতিবন্ধী ভক্তের বাড়িতে অনন্ত-বর্ষা, নিলেন চিকিৎসার দায়িত্ব

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বগুড়া পৌঁছান ঢালিউডের তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল ও আফিয়া নুসরাত বর্ষা। সেখান থেকে জামগ্রামে যান। সেখানে ভালোবাসায় সিক্ত হলো শারীরিক প্রতিবন্ধী এক যুবক। তার নাম সোহেল রানা (৩৫)। এই ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে বগুড়ার কাহালু উপজেলার প্রত্যন্ত জামগ্রাম ইউনিয়নের কালিপাড়ায় গেছেন আলোচিত এই দম্পতি। ভক্ত রানার সঙ্গে দুপুরের খাওয়া শেষে বিকেলে তাকে নিয়ে জলিল-বর্ষা বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায় মধুবন সিনেপ্লেক্সে সিনেমা উপভোগ করেন।

রানার সঙ্গে দেখা করার সময় তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো এবং চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। এ সময় রানাকে তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকাও দেন তিনি। এদিকে নায়ক অনন্ত জলিল ও নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা শুভেচ্ছা জানাতে কালিপাড়ায় ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে মঞ্চ করা হয়। স্কুলমাঠে হেলিকপ্টা থেকে নামার পর তারা ভক্ত রানাকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে উপস্থিত দর্শকদের শুভেচ্ছা জানান। সোহেল রানা বলেন, অনন্ত জলিলের মতো বড় মাপের মানুষকে যখনই ফোন দিয়েছি, তখনই তিনি কথা বলেছেন। আজ তিনি শুধু আমার কথা রাখতে বগুড়া এসেছেন। এ আনন্দ আমি বলে বোঝাতে পারবো না। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন, আমিও চেষ্টা করি তাকে আরও বেশি ভালোবাসার।

এ সময় নায়িকা বর্ষা বলেন, আমি গ্রামের মেয়ে। গ্রামে বড় হয়েছি। রানার জন্য অনেক দিন পর আবার গ্রামে আসতে পারলাম। এ জন্য খুব ভালো লাগছে। দিন-দ্য ডে চলচ্চিত্র সম্পর্কে বর্ষা বলেন, দেশে চলচ্চিত্রের ধারায় পরিবর্তন আসছে। হলিউড, বলিউডের ধাঁচেও আমরা ছবি করতে পারি। এমনই একটি চলচ্চিত্র দিন-দ্য ডে। এর অ্যাকশন, গল্প সবকিছু দর্শকদের ভালো লাগবে। অনেক সিনেমা হলে দেখেছি সন্তান কোলে নিয়ে মা এসেছেন চলচ্চিত্র দেখতে। মানুষের ভালো সিনেমা দেখার এই আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে।

অনন্ত জলিল বলেন, যত সচিব, আমলা, ব্যবসায়ী গড়ে উঠেছে গ্রাম থেকে। এ জন্য গ্রামকে কখনও ছোট করা যাবে না। আজকে বগুড়া আসার একটি বড় কারণ রানা। রানাকে দেখার পাশাপাশি আপনাদের কাছেও আসতে পেরেছি। ওর বাবা-মাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওর মন আপনার-আমার চেয়ে অনেক বড়। এ সময় তিনি আরো বলেন, রানা’র ‍দুটো পা’ই অচল। আমি রানাকে ঢাকা নিয়ে যাবো। ওর পাসপোর্ট করাবো, ওকে থাইল্যান্ড নিয়ে যাবো চিকিৎসার জন্য। আমি চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।

Advertisement