Homeসব খবরজেলার খবরহিলিতে চালের দাম কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে

হিলিতে চালের দাম কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে

বাজারে কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকরা চাল উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণেই বাড়ছে দাম। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম।

প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। হিলি বাজারে মোটা চালের তুলনায় চিকন চালের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। যে মিনিকেট চাল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই মানের চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৫২-৫৪ টাকার শম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকায়, ৪৬ থেকে ৪৮ টাকার আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকায়। আর স্বর্ণা ৫ জাতের চাল ৩৮-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ কম হওয়ায় চালের দামের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবেই কমছে না।

খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন, অটো চাল মিল মালিকরা ধানের মজুদ গড়ে তুলেছেন। তারা চাল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে খুচরা বাজারে কেজিতে সব ধরনের চালের দাম ৬-৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে টানা প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর (গত ২৩ জুলাই) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুরু হয় ভারতীয় নন-বাসমতি চাল আমদানি। তবে ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি ও ডলার রেট ওঠানামা করায় লোকসানের আশঙ্কায় চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই এই বন্দরের আমদানিকারকদের।

২৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে সরকারের শর্তাবলি মেনেই মোটা চাল প্রতিটন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতিটন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। এই বন্দরের ১০ জন আমদানিকারক ৩০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেলেও তার বিপরীতে গেল কয়েক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ভারতীয় ২০০টি ট্রাকে ৮ হাজার টন চাল প্রবেশ করেছে এ বন্দরে দিয়ে।

এদিকে আগে ব্যাংকগুলোতে ১০ ভাগ মার্জিনে এলসি দিলেও বর্তমানে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ মার্জিনে দিতে হচ্ছে। ফলে চাল আমদানি করতে আগ্রহ নেই আমদানিকারকদের। তবে চাল আমদানিতে শুল্ক ফ্রি করে দিলে চালের আমদানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এ বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চালের দাম বেশি। বিধায় যে পরিমাণ চাল আমদানি হওয়ার কথা, সেই পরিমাণ আমদানি হচ্ছে না। আমরা আমদানির চেষ্টা করছি। ভারতে যদি দাম কিছুটা কমে কিংবা সরকার ডিউটি কম নেয়, তাহলে পুরোদমে চাল আমদানি করা সম্ভব হবে।

Advertisement