Homeঅন্যান্যহঠাৎ করেই যে গতিতে বেড়েছে, সেই গতিতেই কমেছে ডিমের...

হঠাৎ করেই যে গতিতে বেড়েছে, সেই গতিতেই কমেছে ডিমের দাম

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর হঠাৎ করেই চড়া হয় ডিমের বাজার। রাজধানীসহ সারা দেশের খুচরা বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হয় ৫৫ টাকায়। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম কমতে শুরু করে। এখন ঢাকার খুচরা বাজারে হালিপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা বা তার একটু ওপরে।

গত বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা বাজার ও উত্তরার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা এখন বাদামি রঙের এক ডজন ডিমের দাম রাখছেন ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ফার্মের মুরগির সাদা রঙের ডিমের দাম ডজনপ্রতি এর চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা কম। আর দেশি হাঁস ও মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ডজনে। বাজারে ডিমের সরবরাহেও সংকট নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বসুন্ধরা বাজারের ডিম বিক্রেতারা জানান, ‘সরবরাহ কম থাকায় মাঝে হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যায়। তিন-চার দিন হলো দাম কমে আগের অবস্থায় চলে এসেছে। একলাফে হালিতে ডিমের দাম কমেছে ১৫ টাকার মতো। দাম কমায় বেচাকেনাও ভালো।’

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘যেভাবে ডিমের দাম বেড়েছিল, তাতে বোঝা যায় সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছিল। বিক্রি কমে যাওয়ায় ঠিকই দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর দাম বাড়বে বলে মনে হয় না। কারণ যা বাড়ার তাতো বাড়ানো হয়েই গেছে।’

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) তথ্য বলছে, দেশে প্রতিদিন চার কোটির বেশি ডিম উৎপাদিত হয়। এসব ডিমের বড় অংশ আসে গ্রামের খামার থেকে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় এসব ডিম দ্রুত পরিবহন করে দেশের বড় বাজারগুলোতে নিয়ে আসা হয়। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। এর প্রভাব ভয়াবহ আকারে পড়ে ডিমের ওপর।

বিপিআইসিসি বলছে, চলতি আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত খামার পর্যায়ে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের প্রতিটি ডিমের দাম রাখা হয়েছে ৯ টাকা ৭৩ পয়সা। আর খামারিরা সাদা রঙের ডিম পাইকারিতে বিক্রি করেছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। সেই হিসাবে হঠাৎ করে বাজারে ডিমের দাম যখন বাড়ল, তখন খামারিরা বাড়তি মূল্য না পেলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে। এতে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।

Advertisement