Homeসব খবরজেলার খবরসাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান কুমিল্লার চাষিরা

সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান কুমিল্লার চাষিরা

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা অন্য ফসলের সাথে মিষ্টি কুমড়াও চাষ করছেন। এতে অন্য ফসলে পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভ করতে পারছেন। অনেক কৃষকরা আগামীতেও একই ভাবে ‍দুই ফসল চাষ করতে লাভবান হতে চান। কুমিল্লায় সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান কৃষকরা।

কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের উত্তর দিঘলী, ছোট হরিপুর ও নরিনসহ বিভিন্ন গ্রামের চাষিদের সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করতে দেখা যায়। চাষিরা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পেয়েছেন। কম খরচে দুই ফসল এক সাথে চাষ করে বাম্পার ফলন পাওয়া যায় বলে কৃষকরা বেশি বেশি চাষ করছেন। তবে একই সাথে দুই ফসলের চাষ ও বিক্রি করে লাভ করতে পেরে খুশি চাষিরা।

সরেজমিনে হরিপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমিতে অধিকাংশ কুমড়া পেকে হলুদ রঙ ধারন করেছে। কৃষকরা কুমড়া সংগহ করে রাস্তায় স্তূপ করছেন। বড় একেকটি কুমড়া ১০-১৫ কেজি ওজনের। কৃষকরা কুমড়া গুলো ভ্যানে করে হাটে নিয়ে যান। কৃষকের পাশাপাশি তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও কুমড়া সংগ্রহের কাজে সাহায্য করছেন।

কৃষক শফিউল্লাহ বলেন, আমি এবছর ৫০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। আলু রোপনের কিছুদিন পর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করি। মিষ্টি কুমড়া চাষে বীজ ছাড়া আর কোনো বাড়তি খরচ করতে হয়নি। ধীরে ধীরে গাছ বড় হতে থাকে। আলু তোলার পর কুমড়ার ফলন আসে। পাইকারি প্রতিটি কুমড়া ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো আয় করতে পেরেছি। এই জমির আলু বিক্রি করে ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছি। আর এই জমি থেকে ১ হাজারের বেশি কুমড়া পেয়েছি।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, আমরা কৃষকদের সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষের পরামর্শ দিয়েছি। কারণ মিষ্টি কুমড়া চাষে বাড়তি খরচ করতে হয়। এই সবজি চাষে সার, কীটনাশক কিছু ব্যবহার করতে হয় না। সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষে এই জেলার কৃষকরা লাভবান তে পারছেন। আর মূল ফসলের সাথে সাথেই সাথি ফসলের বীজ বপন করা যায়।

Advertisement