Homeসব খবরজেলার খবর'রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করলে ভারত থেকে আমদানির...

‘রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করলে ভারত থেকে আমদানির দরকার নেই’

দেশের পেঁয়াজের বাজার যখন অস্থির তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় নতুন পেঁয়াজ উঠাতে ব্যস্ত কৃষকরা। রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন তারা। দেশি পেঁয়াজের চেয়ে এই পেঁয়াজের উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, এই পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানো গেলে কমবে আমদানি নির্ভরতা।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘কৃষককে শিখিয়েছি, এই সময়ে পেঁয়াজ উৎপাদন করা যায়। কৃষক জানত এই বর্ষার সময়ে পেঁয়াজ উৎপাদন করা যায় না। আমরা যদি এই জাতের পেঁয়াজ চাষে সক্ষম হই তাহলে ভারত থেকে আমদানি করার কোনোই দরকার নেই।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাঠে মাঠে এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। এ বছর জেলার অনেক কৃষক রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে যেখানে দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন গড়ে ৫০ মণ, সেখানে নতুন এ জাতের উৎপাদন ১০০ মণের ওপরে।

সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুরের পেয়াজ চাষি সায়েম আলী বলেন, ‘এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ফলন হয়েছে ভাল। বিঘাপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ মণ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ। এক বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত পেঁয়াজ সর্বনিম্ন সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। লাভ বেশি হওয়ায় এ এলাকায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।’

মামুনুর রশিদ নামে আরেক চাষি বলেন, ‘আমাদের ধারাণাও ছিল না যে বর্ষার সময় পেঁয়াজের পুল লাগানো যায়। কিন্তু কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা বর্ষার মধ্যে পেঁয়াজের পুল রোপণ করি। ৯০ দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ বিক্রির উপযোগী হয়ে গেছে। এখন পেঁয়াজ বাজারজাত করছি।’

কৃষি অধিদপ্তর বলছে, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় চার হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। চাষ বাড়ানো গেলে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গাতেও রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন কৃষকরা। নতুন এ জাতের ফলন দেখে খুশি কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

চুয়াডাঙ্গা সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাকিমুর রহমান বলেন, রেড এন-৫৩র উৎপাদন ভাল। সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচ। তিন লাখ টাকা লাভ হবে। দেশি পেঁয়াজে লাভ হবে দেড় লাখ টাকা। আমদানি নির্ভরতা কমাতে উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজ চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর।

সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট নিউজ।

Advertisement