Homeসব খবরজেলার খবররমজান মাসেও ঠিকমতো খাবার জোটেনা অসহায় সুজনের

রমজান মাসেও ঠিকমতো খাবার জোটেনা অসহায় সুজনের

‘এই রমজান মাসে মানুষ কত ভালো ভালো খাবার খাবে, ভালো ভালো পরবে, কিন্তু আমাদের সে ব্যবস্থা নেই। হয়তো একবার খালাম, আরেক বার না খায়েই জীবন যাচ্ছে আমাগের।’ এমন আর্তনাদ আর চোঁখটা জলে ভাসিয়ে এসব কথা বলছিলেন সুজন শেখ (৩২) নামে এই যুবক।

সুজন জন্মের দশ বছর পর বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানাতে পড়ে থাকেন সবসময়ই। দুই হাত বাদে দেহের সব অঙ্গই প্রায় অচলঅবস্থা তার। বাড়িতে সুজনসহ তিন সদস্যের পরিবার। তার মা ও নিজের স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে বসবাস করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভূমিহীন এই পরিবারটি মহম্মদপুরের বিনোদপুর-নহাটা সড়কের নারায়ণপুর গ্রামে সুইচ গেইটের পাশে চার শতাংশ খাস জমির উপর একটি টিনসেড বাড়িতে থাকেন। পরিবারে একমাত্র পুরুষ লোক তাও আবার প্রতিবন্ধী। এখন সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহযোগিতা চাইছেন সুজন ও তার পরিবার।

সুজন শেখ জানান, তিনি প্রাইমারি স্কুলে ফোর পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। পরে হঠাৎ শরীরে রোগ দেখা দেয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি পরিবার।সুজনের বাবা ইউনূস শেখ গেলে ছয়মাস আগে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এখন পরিবারে উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। প্রতিবন্ধী একটি ভাতার কার্ড রয়েছে তার। কিন্তু সেই টাকায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে সংসার চালানো খুবই দূরুহ ব্যাপার বলে জানান তিনি।

এদিকে সুজনের মা রাশিদা বেগম জানান, তার একমাত্র সন্তান সুজন অসুস্থ হলে তাকে বিয়ে দিয়েছি আরেক প্রতিবন্ধী মেয়ের সঙ্গে। আমি মারা গেলে তাকে দেখার মত কেউ থাকবে না। পরিবারে দুইজন নারী আর অসুস্থ ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারে এখন খাবারের অভাব। খাস জমিতে থাকি তাই সরকার টাকা দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি একটা ঘর করে দিলে ঝড় বৃষ্টিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো। এই রমজান মাসে সবাইকে সহযোগিতা করে পাশে থাকার অনুরোধ করেন রাশিদা বেগম।

প্রতিবেশীরা জানান, রমজান মাসেও সময়মতো খাবার জোটেনি এই পরিবারের। কিছু সময় প্রতিবেশী তাদেরকে সহযোগিতা করে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এখন সরকারিভাবে এবং বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে তিনটি জীবন একটু খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে। প্রতিবন্ধী সুজনকে একটা দোকান করে দিলেও সেখান থেকে আয় করে চলতে পারবে বলেও জানায় প্রতিবেশীরা।-সময়ের কণ্ঠস্বর।

Advertisement