Homeসব খবরজেলার খবরময়মনসিংহে শসা চাষে কয়েক’শ চাষির মুখে হাসি ফুটেছে

ময়মনসিংহে শসা চাষে কয়েক’শ চাষির মুখে হাসি ফুটেছে

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই জমিতে শসার বীজ বপন করেন। আর অল্প খরচে অধিক ফলন ও ভালো দরে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা শসা চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে জমি থেকে শসা উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। রমজান মাসকে লক্ষ্য করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের চাষিরা ব্যাপক পরিমানে শসার চাষ করেছেন। কৃষকরা জানেন যে, রমজান মাসে শসার অনেক চাহিদা থাকবে।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের কয়েকশ কৃষক শসা চাষে লাভবান হয়েছেন। এখনকার কৃষকরা আগে ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করতো। অধিক ফলন পাওয়ার পাশাপাশি ভালো বাজারদরে বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হতে পারছেন। তবে বর্তমানে কৃষকরা মৌসুম ও চাহিদা বুঝে শসাসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ করছেন।

চলতি বছর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলার ভূবনকুড়া, গাজিরভিটা, সদর, জুগলী, ধুরাইল ও ধারা ইউনিয়নে এবার ১ হাজার একর জমিতে শসার চাষ হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস শসা লাগানোর উপযোগী সময়। এর চাষে কৃষকের খরচ কম লাগে। আর রমজান মাসে শসার চাহিদা দ্বিগুণ থাকায় কৃষকরা শসা বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। চারা রোপনের মাত্র আড়াই মাসের মধ্যেই জমি থেকে শসা তোলা যায়।

হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর গোবরাকুড়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে শুধু ধান চাষ করতাম। তবে ধানের থেকে শসাতে লাভ বেশি। আর চারা রোপনের মাত্র আড়াই মাসেই ফলন পাওয়া যায়। এবছর আমি আমার ১ একর জমিতে শসার চাষ করেছি। এক একর জমিতে চাষে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত ১৫ দিনে দুইবারে জমি থেকে ৫১ মণ শসা তুলে ৭১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আশা করছি রমজানের মধ্যে আরো ৬০ মণ শসা বিক্রি করতে পারবো। জমি থেকেই প্রতিমণ শসা ১৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

একই গ্রামের আরেক কৃষক নুর হোসেন বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় শসা চাষে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। তাই এবছর ৫০ শতক জমিতে শসার চাষ করেছি। চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩-৪ বার জমি থেকে শসা তুলে বিক্রি করেছি। এমন চাহিদা ও দাম পাওয়া গেলে আগামীতে দেড় একর জমিতে চাষ করবো। আর জমি থেকেই বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি।

হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মাহবুল হক বলেন, এই উপজেলার কৃষকরা সারাবছরই শসার চাষ করে থাকেন। তবে রমজান মাসকে লক্ষ্য করে এবছর তারা শসার চাষ করেছেন। অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে শসার দাম ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় অধিক ফলনও পেয়েছেন।

Advertisement