Homeসব খবরবিনোদনভরা মৌসুমেও সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ইলিশ

ভরা মৌসুমেও সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ইলিশ

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সকালে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মিজানুরের সঙ্গে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটি ইলিশ মাছ সমান আমার তিন দিনের বেতন। ইলিশ জাতীয় মাছ হলেও এখন সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে মাছটি। অল্প আয়ের মানুষের খাবার তালিকায় থেকে অনেকটাই বাদ পড়েছে ইলিশ।

যা দিয়ে আমার ৭ সদস্যের পরিবারের এক বেলা চালানো সম্ভব নয়। তাই ইলিশ না কিনে বড় দুটি পাঙ্গাস কিনলাম। এ বছর এখন পর্যন্ত ইলিশ মাছ কিনতে পারিনি। দেখি বেতন পেলে একটা কিনবো। আবার সামনে কিছুদিন পর ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। সন্তান ইলিশ নিতে বলেছে, অথচ খালি হাতে বাসায় যাচ্ছি। খুব লজ্জা লাগে। সব সিন্ডিকেটের দোষ।’

কারওয়ান বাজারের ইলিশ বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, এখন বাজারে ইলিশের সরবারহ ভালো। তবে দাম একটু বেশি। ইলিশ কিনতে সাধারণ ক্রেতারা ভিড় করছেন। অনেকেই দাম শুনে না নিয়ে চলে যায়। আমরা ১ কেজি ২০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি করছি ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। ১ কেজির নিচের ইলিশের দাম ৯০০-১২০০ টাকা। পদ্মার ইলিশ ও চট্টগ্রামের ইলিশের মধ্যে দামের পার্থক্য ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এক কেজি চাষের শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩০০-৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল আকারভেদে বিক্রি ৩৫০-৪৫০ টাকায় এবং পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া ১৯০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, সিম ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা এবং জালি কুমড়া ৬০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এক ডজন মুরগির লাল ডিম ১৫৫-১৬০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement