এবার যশোরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০৮ টাকা। খামারিরা প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা লোকসানে মুরগি বিক্রি করছেন। যশোরের পাশাপাশি দেশের সব জায়গায় ব্রয়লার মুরগির দাম কমে যাওয়ায় খামারিরা বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন। দেশে অনেক খামারিরা লোকসান টানতে না পেরে বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।যশোর সহ সারাদেশেই ব্রয়লার মুরগির দাম কমে গেছে।
খামারিরা প্রতি কেজি মুরগি ১০৮-১১০ টাকায় বিক্রি করছেন। এই ১ কেজি মুরগি উৎপাদনে খামারির ব্যয় হয় ১৩৫-১৪০ টাকা। আর প্রতি কেজি মুরগি ২৫ টাকা লোকসানে বিক্রি করছেন। একটি মুরগির ওজন ২ কেজি হলে একজন খামারির ১০০০ মুরগি বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়। একসময় দেশের বিভিন্ন জেলার যুবকরা মুরগির খামার করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে উদ্যোগী হলেও তারাও এখন লোকসানে পড়ে তাদের স্বপ্ন শেষ করেছেন। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোল্ট্রি খামার ব্যবসা খামারের পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সীমিত হতে চলেছে।
খামারিদের পাশাপাশি এই শিল্পের সাথে জড়িত ফিড উৎপাদনকারীরাও লোকসানে ডুবে আছেন। খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্কায় কাজ হারানোর চিন্তায় আছেন দেশের পোল্ট্রি খামারে কাজ করা হাজার হাজার শ্রমিকরা। এদিকে অনেক খামারিরা খামার গুটিয়ে নিয়ে অন্য কাজ করছেন। খামার বন্ধ হয়ে গেলে তারা তাদের পরিবার নিয়ে কি করবেন সেই ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।