Homeসব খবরজেলার খবরবিরামপুরে মাল্টা চাষে সফল মিঠু, আয় ১২ লাখ!

বিরামপুরে মাল্টা চাষে সফল মিঠু, আয় ১২ লাখ!

মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার নূর ইসলাম মিঠু। এবছর তার বাগানে মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার ৬০টি বাগান ও কৃষকদের পতিত জমিতে লাগানো গাছে মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। তার সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বিগত ৫ বছর আগেও এ উপজেলায় মাল্টা চাষ হতোনা। কৃষকরা ধান ও অন্যান্য সবজি আবাদ করতো। দিন দিন মাল্টা চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এই উপজেলার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা মাল্টা চাষের প্রতি ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, বর্তমানে এউপজেলায় প্রায় ৬০ বিঘা জমির ওপর ৬০টি মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। এছাড়া পতিত জমি ও বাড়ির ছাদে অনেকে মাল্টা চাষ করেছেন।

উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের মাল্টা চাষি নূর ইসলাম মিঠু বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪ বছর আগে ২৫০ টি মাল্টা চারা রোপন করি। ২ বছর পরই গাছে ফল ধরা শুরু করে। এখন প্রতিটি গাছে প্রায় ৬০-৭০ কেজি হারে মাল্টা ধরছে। বিভিন্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা ৩২০০ টাকা মণ দরে বাগান থেকেই মাল্টা নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য বাগানেও এবার মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। মিঠু আরো জানায়, এবছর যা ফলন হয়েছে তাতে পরিচর্যাসহ সকল খরচ বাদ দিয়ে মাল্টা বিক্রি করে ১০-১২ লাখ টাকা আয় করতে পারবো।

মাল্টা চাষের স্বপ্নদ্রষ্টা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, বিরামপুর উপজেলায় মাল্টা আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। মাল্টা চাষে কৃষকদের উৎসাহীত করেছি। বর্তমানে চাষিরা ব্যাপক হারে মাল্টার চাষ করছেন। মাল্টা অধিক সুস্বাদু এবং আকারে বড় হওয়ায় দিন দিন এই উপজেলায় চাহিদা বাড়ছে। এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের সহ বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ হচ্ছে। কৃষকদের সার্বিক সহায়তার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Advertisement