Homeসব খবরজেলার খবরবিভিন্ন বাজারে নিয়ম ভেঙে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ

বিভিন্ন বাজারে নিয়ম ভেঙে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ

পানি জাতিয় ফলের মধ্যে তরমুজ সবচেয়ে জনপ্রিয়। কৃষকরা আগে গ্রীষ্মে চাষ করলেও এখন বেশি লাভের আশায় আগাম চাষ করে থাকেন। ফলে শীত শেষ হতেনা হতেই বাজারে তরমুজ পাওয়া যায়। পিস হিসেবে বিক্রির নিয়ম থাকলেও অসাধু চক্রের লোকেরা কেজি দরে বিক্রি করছে। এতে একটি তরমুজ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। গরমে পানি জাতিয় ফলের মধ্যে তরমুজের বেশ চাহিদা থাকে।

এবছর রংপুরের বিভিন্ন বাজারে নিয়ম ভেঙে কেজির দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। আগাম হাইব্রিড জাতের তরমুজ একেকটি ৮-১০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এতে কেজি দরে ভোক্তাদের একটি তরমুজ কিনতে ৪০০-৫০০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

সরেজমিনে রংপুর নগরীর সুরভি উদ্যান ও সিটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ব্যাপক পরিমানে সবুজ ও কালো তরমুজের সরবরাহ রয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে বাজারে ক্রেতাদের অনেক ভীড়। তরমুজের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে চাষিরা এর অর্ধেক দামও পাচ্ছেন না। তবে অনিয়ম করে কেজি দরে বিক্রি করে তারা দ্বিগুণ লাভ করছেন।

রংপুর অঞ্চলের খুচরা বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, নগরীতে বিক্রয়কৃত একেকটি তরমুজের ওজন গড়ে ৮-১০ কেজি। খুচরা বিক্রেতারা কেজি হিসেবে এই তরমুজগুলো ৪০০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। কিন্তু পাইকারি বাজরে এই ওজনের তরমুজ ২১০-২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, খুচরা বিক্রেতারা তরমুজের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। পুরোটাই তাদের কারসাজি।

ক্রেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের সবগুলোরই দাম বেশি। আর রমজান উপলক্ষ্যে কিছু জিনিসের দাম এখনো বাড়ছে। তার সাথে সাথে বিক্রেতারা তরমুজও দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। সব দিক দিয়েই শুধু সিন্ডিকেট আর সিন্ডিকেট। আমাদের কোথাও যাওয়ার রাস্তা নাই।

রংপুর নগরীর সিটি বাজারের সামনে তরমুজ বিক্রেতা মাজহার বলেন, আমাদের অনেক আগেই তরমুজ কিনে আনতে হয়েছে। জমিতে ফসল কম ও বৃষ্টির কারণে যেন নষ্ট হয়ে না যায় তাই কৃষকরা আগেই বেশি দামে বিক্রি করেছেন। তাই দাম বেশি।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোক্তাদের যেন বেশি দামে তরমুজ কিনতে না হয় আমরা সেটা মনিটর করছি। আর খুচরা ও পাইকারি বাজারের দামের পার্থক্য স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া আছে।

Advertisement