Homeসব খবরজেলার খবরকাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে খুশি আলু চাষিরা

কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে খুশি আলু চাষিরা

কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। ফলন বৃদ্ধিতে আলুর সংরক্ষন নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে তারা ধারনা করছেন। তবে কৃষকদের আশা করছেন গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে এবছর লাভবান হতে পারবেন। আলু চাষে কুড়িগ্রামের চাষিদের আনন্দ উৎসব চলছে।

কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ব্যাপক পরিমানে আলুর চাষ করা হয়েছে। এখানকার কৃষকরা কাটিলাল, ডায়মন্ড, স্টারিক্স কয়জো, গ্যারানুলা, ক্যারেজ, রোসা গোল্ড, সানসাইন, কুকরী সুন্দরী, কুইনএনি, লালপাকড়ী, পাটনাই, শিলবিলাতী, বগুড়াই জাতের আলুর চাষ করেছেন। প্রায় সব জাতেরই ভালো ফলন হয়েছে। কুড়িগ্রামে বেসরকারি ৪টি হিমাগার রয়েছে। যেগুলোর ধারন ক্ষমতা ৪৮ হাজার মেট্রিক টন। কৃষকরা চলমান চাহিদা অনুযায়ী আলু বাজারজাত করে বাকি আলু হিমাগারে রেখে দিবেন।

কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর চাষ করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। চাষ কম হলেও দ্বিগুণ ফলন পাওয়া গেছে।

রাজারহাট চান্দামারী এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, আমি এবছর ১ একর জমিতে কাটিলাল জাতের আলুর চাষ করেছি। এবছর গাছে কোনো রোগবালাই হয়নি। আর ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি বিক্রি করে লাভবান হবো। জমি থেকে ৬৫ কেজি করে ১৮০ বস্তা আলু পেয়েছি।

একই এলাকার কৃষক ওয়াহেদ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে আমি ১ একর জমিতে আলুর চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় বেশি ফলন পেয়েছি। আশা করছি গত বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো।

কৃষক জাহিদ হোসেন বলেন, জমিতে কাটিলাল আলুর ভালো ফলন পেয়েছি। এখন বাজারে প্রতি ডারি আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এখন চাহিদার তুলনায় আলু বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কম। আশা করছি দাম বাড়বে।

বাংলাদেশ কোলস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকার ডায়রেক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলতি বছর কুড়িগ্রাম জেলার কৃষকরা আলুর আশানুরূপ পেয়ে খুশি। তারা তাদের উৎপাদিত আলু সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষন করতে পারলে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কুড়িগ্রামে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে ও কোনো প্রকার রোগবালাই না হওয়ায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছেন। আর এই জেলায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি আলুর উৎপাদন হয়েছে।  আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। কৃষকরা গতবছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশা করছেন।

Advertisement