Homeসব খবরজেলার খবরবগুড়ায় মাচা পদ্ধতিতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তরমুজ চাষ

বগুড়ায় মাচা পদ্ধতিতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তরমুজ চাষ

নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক জাব্বির হোসেন মাচায় তরমুজ চাষ করে চমক দেখিয়েছেন। এই হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি। রসালো এই তরমুজ চাষ করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি অন্য কৃষকের মনে উৎসাহ যোগাচ্ছেন। বগুড়ায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মাচায় তরমুজ চাষ।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ‘তৃপ্তি’, ‘সুইট ব্ল্যাক’ বা কালো জাত ও ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ বা হলুদ জাতের তরমুজ চাষ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষেতের চারিদিকে বেড়িবাধেঁর মতো উঁচু মাটির ঢাল। সেই ঢালে মাচায় বাহারি রঙের তরমুজ ঝুলে আছে। কোনোটির গায়ে ডোরাকাটা দাগ, কোনোটি কালচে সবুজ, কোনোটি আবার হলুদ।

কৃষক জাব্বির হোসেন বলেন, আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আমার ২০ শতক জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে বীজ রোপন করি। রোপনের ৪৪ দিনের মধ্যে গাছে ফুল ও ফল আসা শুরু করে। বর্তমানে জমিতে প্রায় ১৫০০ তরমুজ রয়েছে। একেকটি তরমুজ ২-৩ কেজি ওজনের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব তরমুজ বাজারে বিক্রি করে অনেক লাভবান হবো।

তিনি আরো বলেন, এই তরমুজ চাষে প্রাকৃতিক জৈব সার ব্যবহার করেছি। এতে কোনো বিষ নেই। কৃষি অফিসের পরামর্শে পোকামাকড় নিধনের জন্য ফেরোমন, ফাঁদ ও ইয়োলো কালার ট্যাপপদ্ধতি অনুসরণ করেছি। সব মিলেয়ে তরমুজ চাষে মোট ৩৭ হাজার টাকা মতো খরচ হয়েছে। বাজারে পাইকারি প্রতি কেজি তরমুজ ৫৫-৬৫ টাকায় এবং খুচরা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে তরমুজ বিক্রি করে ভালো লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।

এলাকার কৃষক মিলন সরকার বলেন, জাব্বিরের বাগানটি আমি দেখেছি। মাচায় তরমুজ চাষ করে এলাকায় সে বেশ সাড়া ফেলেছে। তার বাগানে প্রচুর ফল এসেছে। আশা করছি সে আনেক লাভবান হবে। আমিও আগামীতে এই তরমুজ চাষ করবো। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবু বলেন, মাচায় তরমুজ চাষ করে জাব্বির হোসেন তাক লাগিয়েছেন। তার বাগানে প্রচুর তরমুজ ধরেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছে। তরমুজ চাষে তার আরো সহযোগীতার প্রয়োজন হলে আমরা তাকে সাহায্য করবো।

Advertisement