Homeসব খবরজাতীয়ফেসবুক লাইভে অঝোরে কাঁদলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

ফেসবুক লাইভে অঝোরে কাঁদলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে অঝোরে কাঁদলেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বাদ পড়া হেলেনা জাহাঙ্গীর। এছাড়া সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবস্থা নেবেন বলে এক রকম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন তিনি।

হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, আমাকে ফেসবুকে গালাগা’লি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের সাই’বার অনুযায়ী এদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের মা হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি তাদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের জন্য চ্যানেল চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

নিজ আইপি টিভি ‌‘জয়যাত্রা টেলিভিশনে’র উদাহরণ দিয়ে হেলেনা বলেন, আমি সরকারের জন্য চ্যানেল চালাচ্ছি; ভর্তুকি দিয়ে আমার জয়যাত্রা টেলিভিশন চালাচ্ছি। এ টেলিভিশনের জন্য কাজ করতে গিয়ে অন্য কোনো কাজ করতে পারছি না। ছোট হোক কিন্তু চ্যানেল তো, সরকারের জন্য এই চ্যানেল চালাচ্ছি।

লাইভে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার নিন্দাও জানান তিনি। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছারসহ কয়েকজন নেতার নামও উল্লেখ করেন। দলে না থাকলেও দলের জন্য কাজ করে যাবেন বলেও জানান তিনি।

ছোটবেলা থেকেই সমাজসেবা করে আসছেন উল্লেখ করে হেলেনা বলেন, আমি দলে না থাকলেও, এমপি না হলেও দলের জন্য কাজ করে যাব। আমি ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বয়স বেশি না, বাচ্চাকাল থেকেই সামাজিক কাজ করছি। ‘লকডাউন’ উঠে গেলে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানান হেলেনা জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ও লালন করে চলছি। এ বি এম রিয়াজুল কবির কায়সার গতকালকে বলেছিল, হেলেনা জাহাঙ্গীর আসছে, আমি চলে যাব। আমি বললাম, ভাই, আপনি থাকেন আমি চলে যাই, আমি বের হয়ে গেছি। কেন? আজকেও সেই অবস্থা বলছেন। হ্যাঁ, ’৭১ টিভিতে একটা প্রোগ্রাম ছিল সেই প্রোগামে তিনি বলছেন, উনার নাম কামাল ভাই। উনাকে আমি বললাম, ভাই, আপনি আমাকে এভাবে অপমান করতে পারেন না।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তারপরেও পুরুষরা এত খারাপ কেন, সব পুরুষ না, কিছু কিছু পুরুষ। এত খারাপ মেয়েদের পিছনে লেগে থাকে। লজ্জা করে না আপনাদের, মেয়েদের পিছনে লেগে থাকতে। মেয়েরা না মায়ের জাতি। মা না থাকলে আপনার জন্ম হতেন না। সেই মেয়েদেরকে আপনারা অপমান করেন, লেলিয়ে দেন; হেলেনা জাহাঙ্গীরের পিছনে লাগো। মন্ত্রী মহোদয় আছেন, এমপিরা আছেন। আপনাদের যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে ছাতার ভিতরে আগলিয়ে রাখে, আপনাদের যদি পরামর্শ দেয়, আপনাদের পরামর্শ শুনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আপনারা আমাদের পরামর্শ দিবেন। আমাদের কাজ করার সুযোগ দিবেন।

আপনারা আমাদের অপমান করেন, অ্যারেস্ট করার হুকুম দেন। আপনি কি অ্যারেস্ট করার হুকুম দিতে পারেন। আপনি কি বড় জন? আপনি আমাকে অ্যারেস্ট করার ইয়া বলতে পারেন… পারেন না কখনই। আমি যদি আজকে এই কথাগুলো শেয়ার না করতাম, তাহলে আমি হয়তো হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারতাম। স্ট্রোক করেও মরতে পারতাম। আমার যে কষ্ট, এগুলো অবশ্যই শেয়ার করতে হবে। যদি মরেও যাই জাতি যেন মনে রাখে। যারা লেলিয়ে দিচ্ছে এবং যারা কমেন্ট করছেন; সাইবার ক্রাইমকে অনুরোধ, ওরা কারা, ওরা কোথেকে এসছে…’

Advertisement