Homeসব খবরবিনোদন‘পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশছেড়ে যেতেই হবে; অপেক্ষা পাসপোর্টের’

‘পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশছেড়ে যেতেই হবে; অপেক্ষা পাসপোর্টের’

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েই রীতিমতো নিজেকে দেশের মাটিতে সব রকম কনসার্ট থেকে গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। শুধু কনসার্ট না, একেবারে দেশ ছাড়ারই খবর দিলেন এই শিল্পী। জানালেন, চৌদ্দ বছর আগে পাওয়া আমেরিকার নাগরিকত্ব অফারটা এখনো চালু আছে, পাসপোর্ট প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো।

গতকাল নিজ ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান কুমিল্লার এই কৃতী শিল্পী। কিছু আক্ষেপ নিয়েই লিখেছেন, পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থেই যেতে হবে। বেকার থেকে দেশের চাল নষ্ট করার কোন মানে হয়না। আসিফ আকবরের সেই।স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো:

কনসার্ট করতে আসলেই আমার খুব ভয় লাগে। স্কুল বন্ধু ফখরুল ফোন দিয়ে বললো একটা কনসার্টের কথা, সবিনয়ে না করে দিলাম। কলেজের কনসার্ট, প্রায় ত্রিশ মাস পর মাইক্রোফোন ধরতে হবে। নাহ বাংলাদেশে আমার আর কনসার্ট হবেও না, করবোও না। কোন টেলিভিশন চ্যানেলেও গাইবোনা। খুব চাপে না পরলে টিভি চ্যানেলে কথাবার্তার অনুষ্ঠানেও যাইনা।

সুপ্রীম কোর্ট বন্ধ ছিলো, তাই পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারিনি। এই সপ্তাহেই করে ফেলবো। ডাকসাইটে আইনজীবী বন্ধু সাজ্জাদ হায়দার এই মামলার দায়িত্ব নিয়েছে। কাগজপত্র রেডী করেছি। আজ ফোন দিলো ৭১ টিভির স্পোর্টস রিপোর্টার এহসান, আমাকে খুব ভালবাসে। বললো সেপ্টেম্বরে কাতারে একটা শো আছে। হাসি চলে আসলো অটোমেটিক, কারন উত্তর রেডী, পাসপোর্ট নাই। এবছর টার্গেট ছিলো প্রচুর বিদেশ ট্যুর করবো, অল কেন্সেলড।

বাংলাদেশ আমাকে অনেক দিয়েছে, অনেক…….. কুমিল্লার গলি থেকে উঠে এসে থেকে দেশ কাঁপানোর সুযোগ পেয়েছি। মানুষ আমাকে চেনে জানে ভালবাসে। একটা সময় আমার অ্যালবামে ইন্ডাষ্ট্রী চাঙ্গা হতো। হাজারো পরিবারের আয় রোজগার চলতো। এখন দেখি তরুন শিল্পীরা কোনমতে একটি হিট গান দিতে পারলে নিজে বেঁচে যায়, ক্যারিয়ারটা ধরে রাখার জন্য একটু সময় পায়। তাদের সংগ্রাম দেখে মন খারাপ হয়, কত অনিশ্চয়তা নিয়ে শুধু গানকে ভালবেসে একটা জীবন রেসে’র ঘোড়া হয়ে বাঁচে ওরা। সেই তুলনায় আমি অনেক সৌভাগ্যবান।

একটা বর্ণিল জীবন কাটিয়েছি। সফলতার এভারেস্টে চুমু দেয়াটা অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছি। আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই, দেশকেও আর কিচ্ছু দেয়ার সক্ষমতা নেই, কাজ করারও জায়গা নেই। বুদ্ধিমানরা সবাই এখন প্রবাসী, হারাধনের শেষ সন্তান হিসেবে রইলাম বাকী আমি। চৌদ্দ বছর আগে পাওয়া আমেরিকার নাগরিকত্ব অফারটা এখনো চালু আছে, পাসপোর্ট প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো। পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থেই যেতে হবে। বেকার থেকে দেশের চাল নষ্ট করার কোন মানে হয়না।

ভালবাসা অবিরাম…

Advertisement