Homeসব খবরজেলার খবরপরিচিতির অভাবে ব্রকলি চাষে বিপাকে কৃষক হারুন!

পরিচিতির অভাবে ব্রকলি চাষে বিপাকে কৃষক হারুন!

ব্রকলি চাষ করে বিপাকে পড়েছেন লক্ষ্মীপুরের কৃষক হারুন। তেমন পরিচিতি না থাকায় লক্ষ্মীপুরের ক্রেতারা এই পুষ্টিকর সবজিটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে কৃষক হারুনের উৎপাদিত প্রায় আড়াই হাজার ব্রকলি বিক্রি হচ্ছেন না। উৎপাদিত ব্রকলি বিক্রি করতে না পেরে হতাশ কৃষক হারুন। ব্রকলি একটি খুবই পুষ্টিকর সবজি। বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। শহরে এর পরিচিতি থাকলেও গ্রামের এর পরিচিতি এখনো লাভ পায়নি।

কৃষক হারুন কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়নের লরেন্স গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রথমবারের মতো তার ৮ শতাংশ জমিতে ব্রকলি চাষ করেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে মাত্র ৩ মাসেই ফলন পান তিনি। তবে পুষ্টিকর এই সবজিটি গ্রামের মানুষের কাছে অপরিচিত হওয়ায় কেউ কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তবে এখন কৃষক হারুনকে ব্রকলি বিক্রিতে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে পরিবেশবাদী একটি সংগঠনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কৃষক হারুন।

কৃষক মো. হারুন বলেন, আমি আমার ৮ শতক জমিতে আড়াই হাজার ব্রকলির চারা রোপন করি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমান মতো সার ও কীটনাশক দেই। মাত্র ৩ মাসেই ব্রকলির ফলন পাই। ব্রকলির ভালো ফলন হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এর পরিচিতি নেই বলে এখন ব্রকলি বিক্রি করতে পারছি না। তবে এখন একটি সংগঘটন আমাকে ব্রকলি বিক্রি করতে সাহায্য করছে। তাই উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে এর পরিচিতি বাড়ানো উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। গ্রামাঞ্চলে এর পরিচিতি না বাড়ালে কৃষকরা ব্রকলি উৎপাদনে উৎসাহ হারাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্র মতে, ব্রকলি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। এতে ভিটামিন ‘কে’, ভিটামিন ‘সি’, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও ফাইবারে পরিপূর্ণ। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত খাওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও এটি কাজ করে।

ব্রকলির বীজ সাধারনত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজতলায় বপন করতে হয়। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় বীজতলা থেকে তুলে মূল ক্ষেতে রোপণ করা হয়। ৭৫-৮৫ দিনের মধ্যে এতে ফুল আসে। এটি চাষ করার জন্য স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আতিক হাসান বলেন, আমাদের অঞ্চলে এখনো ব্রকলি সেই ভাবে পরিচিতি লাভ করেনি। এটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি হলেও এর পরিচিতি বাড়ানোর আগে পর্যন্ত এর বিক্রি বৃদ্ধি পাবে না। তাই উৎপাদনের পাশাপাশি মানুষের কাছে এর পরিচিতি বৃদ্ধিতে প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে।

Advertisement