Homeসব খবরজেলার খবরপুকুর পাড়ে মিশ্র ফল চাষে কবিরের লাখ টাকা আয়

পুকুর পাড়ে মিশ্র ফল চাষে কবিরের লাখ টাকা আয়

মাছ এবং ফল চাষের ভালো ফলন হওয়ায় খুশী কৃষক কবির। পুকুর পাড়ে বিভিন্ন ফলের চাষ এমন দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন শতশত মানুষ। তার এমন ব্যতিক্রমী চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই ঝুঁকছেন এমন চাষে। ঝিনাইদহের কৃষক কবির হোসেন একজন সফল উদ্যোক্তা। ৬ বছরের জন্য সরকার থেকে পুকুর লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পাড়ে চাষ করছেন মাল্টা, কমলা, দার্জিলিং, পেপে পেয়ারা।

এর আগে এখানে অনেকেই পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতে এসেছেন। সে সময় পুকুর পাড়ে কিছু চাষ হত না। কিন্তু কবির হোসেন পুকুর লিজ নেবার পর থেকে বদলে গেছে পুকুরের দৃশ্য। পুকুর পাড়ে ফলের চাষ করে নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি গ্রামের লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। পুকুর পারে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ আর সেই গাছভর্তি ফল ঝুলছে।

জানা যায়, ১০০ বিঘা জমির উপর মোট ১৬টি পুকুরে রয়েছে। যেখানে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে রয়েছে ৭৫০টি মাল্টা, ২ হাজার ৫০০ ড্রাগন, ৫০০ পেপে, ৩০০ চায়না কমলা ও ১০০টি দার্জিলিং কমলার গাছ। এসব ফল বিক্রি করে প্রতি মাসে তার আয় কয়েক লাখ টাকা।

কবির হোসেন ঢাকা বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশের এমন অবস্থাই একটু পতিত জায়গাও ফাকা রাখা উচিত না। সেই লক্ষ্যে আমি পুকুর পাড়ে ফাকা জায়গায় বিভিন্ন জাতের ফল চাষ শুরু করি। পুকুরের পাড়ে চাষ করছি মাল্টা, কমলা, দার্জিলিং, পেপে পেয়ারা ,চায়না কমলা, মাল্টা বরি-১। বর্তমানে চায়না কমলার বাম্বার ফলন হয়েছে। অনেক দূর থেকে আমার বাগান দেখতে আসছে। আমার ইচ্ছা এখানে মাছ চাষ এবং ফলের বাগানের সমন্বয় করে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার। আবার অনেকেই এমন সফলতা দেখে এই চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজগর আলী বলেন, যেসব পতিত জমি রয়েছে সেসব জমি চাষ করতে উদ্বুদ্ধর পাশাপাশি সকল ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। পুকুর পাড়ে ফল চাষ করায় গাছের শেকড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে। এই ধরনের চাষ আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যে কারণে গাছে পানি দিতে হয়না এবং ভালো মানের ফল উৎপাদন করা সম্ভব।

Advertisement