বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, তরমুজ পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবেই বিক্রি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্রেতারা তরমুজ যেভাবে কিনতে চান সেভাবে বিক্রি করতে হবে। কেউ পিস হিসেবে কিনতে চাইলে কেজি দরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তবে কেউ তরমুজ কেজি হিসেবে কিনলে বিক্রেতারা কেজি হিসেবে বিক্রি করবেন। কিন্তু এর সপক্ষে ঐ বিক্রেতাকে অবশ্যই ভাউচার রাখতে হবে। পাকা ভাউচার না থাকলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কেউ তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করলে ভোক্তারা তা প্রত্যাহার করবেন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে বিষয়টি অবহিত করেন। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে আনেন এবং সেগুলো বাজারে কেজি হিসেবে অধিক মূল্যে বিক্রি করেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কারওয়ান বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার।
অভিযানে দেখা গেছে, ১১ কেজি ওজনের তরমুজ ২৮০-৩০০ টাকায় কেনা এবং সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ কেজি হিসেবে ৭০০ টাকায়। আর অধিক লাভ বন্ধ করার জন্য নিয়মিত অভিযানও চালাচ্ছে অধিদফতর।