Homeফুটবলজেসুসের সেই ‘কুংফু’ ভি’ডিও ভাইরাল

জেসুসের সেই ‘কুংফু’ ভি’ডিও ভাইরাল

কোপা আমেরিকায় শেষ আটের লড়াইয়ে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে শনিবার ভোরে অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল চিলিকে হারাতে ঘাম ঝরিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি হিসেবে নামা লুকাস পাকুয়েতার একমাত্র গোলে জয় নিশ্চিত হয় সেলেকাওদের।

এ জয়ে ব্রাজিল সর্মথকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও জয়কে ছাপিয়ে গেছে ম্যাচের অন্য একটি ঘটনা। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের থেকে শুরু করে ব্রাজিলবিরোধীদের মুখে মুখে শুধু ম্যাচের ৪৯তম মিনিটের ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। ৪৬ মিনিটের সময় নেইমারের ব্যাকহিল পাস থেকে বল পেয়েই দারুণ এক শটে চিলির জালে বল জড়িয়ে দেন পাকুয়েতা। এর দুই মিনিট পরই ম্যাচের সবচেয়ে জঘন্য দৃশ্যের জন্ম দেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার গ্যাব্রিলেয় জেসুস।বাতাসে বলের দখল নিতে গিয়ে মেনার মুখে লাথি মারেন তিনি—দেখে মনে হবে রেসলিংয়ের ‘ফ্লাইং কিক’!

এমন কিক দেখে জেসুসকে ‘কুংফু ম্যান’ বলে ট্রল করছেন ব্রাজিলবিরোধীরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন মেনার মুখে লাথি মারার সেই ভিডিও। আলোচিত ও সমালোচিত সেই দৃশ্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখযোগ্য হারে শেয়ার করছেন ব্রাজিলবিরোধী ফুটবল সমর্থকরা।তাদের মতে, জেসুস যা করলেন, তা গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কারো কারো মতে, জেসুস ইচ্ছা করেই এমনটা করেছেন। কারণ জেসুসের পেছনের রেকর্ড ভালো নয়।

এর আগে ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকাতেও লাল কার্ড দেখেছিলেন জেসুস। সেটি ছিল পেরুর বিপক্ষে। তিতে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর জেসুসই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার লাল কার্ড দেখেছেন।অবশ্য শনিবারের ম্যাচে জেসুস পার পাননি। ঘটনার পর পরই সময়ক্ষেপণ না করে ম্যানসিটির এই ফরোয়ার্ডকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি।

রেফারির এই সিদ্ধান্তে নির্বাক ছিলেন নেইমাররা। ব্রাজিলের কোনো খেলোয়াড় প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজনও মনে করেনি। অর্থাৎ নেইমাররাও মনে করেছেন, ঠিক কাজটি করেননি জেসুস।এদিকে অপরাধবোধ কাজ করেছে জেসুসের মাঝেও। খেলা শেষে চিলির মেনার খোঁজ নিয়েছেন, তার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন সতীর্থদের কাছেও।তবে তাতে সমালোচনা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তিনি। ব্রাজিলের জয় ছাপিয়ে কংফুম্যান জেসুস নিয়েই পড়ে আছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

Advertisement