Homeসব খবরজেলার খবরকুল চাষে বছরে ১০ লাখ টাকা আয় করেন রাসেল!

কুল চাষে বছরে ১০ লাখ টাকা আয় করেন রাসেল!

সাড়ে ৪০০ কুলগাছ রোপণ করে বছরে আয় করছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা। বর্তমানে তার সফলতা দেখে অনেক বেকার যুবকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কুল চাষে তাক লাগিয়েছেন যুবক আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল। কুল চাষে বেকারত্ব দূর করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি।

আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিসাখালি ইউনিয়নের গোছখালি এলাকার বাসিন্দা। এক সময়ের বেকার যুবক ছিলেন। বেকার থাকা অবস্থায় কিছু করার চিন্তা নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে প্রায় ২ একর জমি ইজারা নিয়ে কুল চাষ শুরু করেন। বর্তমানে এই বেকার যুবকই কুলচাষে সফলতা পেয়ে অন্যদেরও উৎসাহিত করছেন।

কুল চাষি রাসেল বলেন, আমি প্রথমে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতাম। ২০২০ সালে সেই প্রকল্প শেষ হলে আমি আবার বেকার হয়ে পড়ি। বেকার হয়ে পড়ায় প্রথমে হতাশ হয়ে পড়ি। তারপর কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রায় ২ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে কৃষি কাজে নেমে পড়ি। প্রথমে মাল্টা চাষ শুরু করি। মাল্টা চাষে সুবিধা করতে পারিনি তাই লোকসান হয়। এখন আমার সবগুলো গাছেই ফল ধরেছে। আর এই গাছগুলো থেকে সারাবছরই কুল পাওয়া যায়। তারপর কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কুষ্টিয়ার মেহেরপুর এলাকার এক বাগান থেকে ৪ প্রজাতির সাড়ে ৪শত কুল গাছ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করি।

রাসেল আরও বলেন, আগে প্রায় ২ একরে চাষ করলেও বর্তমানে ৩ একর জায়গায় কুল চাষ করছি। আমার বাগানে আপেল কুল, কাশ্মীরি কুল, বনসুন্দরী কুল ও বাউকুল এই ৪ প্রজাতির কুল আছে। সারা বছরই বাগানে কুল পাওয়া যায়। বাগানে বছরে অন্তত ১০ টন কুল উৎপাদন হয়। প্রথমে ১২০ টাকা কেজি করে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই কুল কিনে নিয়ে যান। আগামী বছর থেকে কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি। এখন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, রাসেল চাকরি হারিয়ে বিপাকে পড়লে আমরা তাকে কুল চাষের পরামর্শ দেই। বর্তমানে কুলের চাহিদা বেশি হওয়ায় বিক্রি করে সে লাভবান হতে পারছে। সে কোনো ধরনের রা’সায়নিক সার বা কী’টনাশকের ব্যবহার না করেই সে ভালো আকার ও স্বাদের কুল পাচ্ছে।

Advertisement