Homeসব খবরজাতীয়এ বছরেই চালু হচ্ছে আরও তিনটি বড় সেতু ও...

এ বছরেই চালু হচ্ছে আরও তিনটি বড় সেতু ও রেলসেতু

পদ্মাসেতুর জমকালো উদ্বোধনের পর, এ বছরেই চালু হতে যাচ্ছে আরও তিনটি বড় সেতু ও দীর্ঘতম রেলসেতু। রূপসা রেলসেতুর ওপর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর দুয়ার খোলার অপেক্ষায় পিরোজপুরের বেকুটিয়া, নড়াইলের কালনা ও নারায়ণগঞ্জের ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু। সেতুগুলো চালু হলে যোগাযোগ তো বটেই, অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখবে বড় ভূমিকা।

রূপসার বুকে ৫.১৩ কিলোমিটার রেলসেতুর পুরোটাই এখন দৃশ্যমান। বহুল প্রত্যাশিত এই রেলসেতু দিয়ে মোংলা বন্দর থেকে কম খরচে পণ্য যাবে ভারত, নেপাল ও ভূটানে। খুলে যাবে বাণিজ্যের নতুন দুয়ার। সহজ হবে সুন্দরবন ভ্রমণ। রেল ট্র্যাক, টেলি কমিউনিকেশন, সিগন্যালিং ও রূপসা নদীতে সেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্টও নির্মাণ করা হয়েছে। ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশনও প্রস্তুত। দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুটি চালু হবে আসন্ন ডিসেম্বরে।

এদিকে নড়াইলের মধুমতি নদীর ওপর ৬৫০ মিটার দীর্ঘ কালনা সেতুর নির্মাণ কাজও শেষের দিকে। এই সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে দক্ষিণ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি জেলা। ঢাকার সঙ্গে কমবে দূরত্ব। এশিয়ান হাইওয়ের আওতায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে ঢাকার সঙ্গে ভারতের।

সেপ্টেম্বরেই হবে এর উদ্বোধন। সেতুর দুই পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার।পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া সেতুর কাজও শেষ ৯৫ ভাগ। অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটিরও দ্বার খুলবে সেপ্টেম্বরে। সেতুটি বরিশালকে সংযুক্ত করবে খুলনা ও পিরোজপুরের সঙ্গে।

অন্যদিকে, তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুটির নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু। এটি নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্দর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের সঙ্গে পদ্মা সেতুর দূরত্বও কমে যাবে ৯ কিলোমিটার। এই সেতুতে যান চলবে আসছে অক্টোবরেই। নতুন এসব অবকাঠামো যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি অর্থনীতিতে আনবে নতুন গতি।

Advertisement