Homeঅন্যান্যএবার ব্ল্যাক রাইসে সফলতার স্বপ্ন স্ট্রবেরি জাহেদের

এবার ব্ল্যাক রাইসে সফলতার স্বপ্ন স্ট্রবেরি জাহেদের

এবার প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক রাইস পরীক্ষামূলক চাষ করে সফল হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। ১২ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক এ ধান চাষ করেছেন তিনি। মাস্টার্স শেষ করে শিক্ষা জীবনের ইতি টানেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জাহেদ। চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। পড়াশোনা করার সময় থেকে নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে মেলে ধরেন তিনি।

জাহেদ শুরু করেছিলেন ২০১৪ সালে। মিরসরাই কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি স্ট্রবেরি চাষ করে সফলতা অর্জন করেন। তাকে এলাকায় স্ট্রবেরি জাহেদ হিসেবে চেনে সবাই। তার দেখাদেখি পরে অনেকে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। মোহাম্মদ জাহেদ চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১২ খৈয়াছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত জামাল উল্লাহর ছেলে।

জানা যায়, ব্ল্যাক রাইস ধানগাছ প্রথমে সবুজ থাকলেও, ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই কালো হতে শুরু করে। খুব দামি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। এমন একটি ধান চাষ করতে পেরে আনন্দের যেন শেষ নেই জাহেদের।

জাহেদ বলেন, ‘প্রথমে অনলাইনে দেখে আমি এ ব্ল্যাক রাইস সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর অনলাইনের মাধ্যমে যশোর থেকে ধানের বীজ এনে বপন করেছি। ১ কেজি ধান ৫৫০ টাকায় ক্রয় করি। বর্তমান বাজারে ১ কেজি চালের মূল্য প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি। এ ধানের ফলন ভালো, অল্প সময়েই অধিক ফলন পাওয়া যায়। এজন্য আশার আলো দেখছি আমি।’

স্থানীয় আরেক কৃষক আবুল কালাম জানান, এ কালো ধান সম্পর্কে আগে জানতাম না। জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এ ধানের ফলন ভালো এবং দামি হওয়ায় সামনে করার ইচ্ছা পোষণ করছি।

জাহেদ বলেন, উচ্চশিক্ষা অর্জন করে চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিকে আপন পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি। স্ট্রবেরি চাষ করে সফল হয়েছি। সঙ্গে চায়না টমেটো, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, আলু, মরিচ, বরবটিসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেছি। পাশাপাশি শুরু করেছি বিভিন্ন ফল, সবজি ও ফুলের চারা উৎপাদন। এবার ব্ল্যাক রাইস চাষ করেছি। ধান পাকতে শুরু করেছে। আগামী ১০ দিন পর কাটা শুরু করবো।

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলার কৃষি অফিসার রঘুনাথ নাহা বলেন, মিরসরাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাহেদ ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান চাষ করেছেন। এর আগে গত বছর আরেক কৃষক করলেও তেমন ফলন না হওয়ায় আর চাষ করেননি। এ ধানের চালের বর্তমান কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বেশি। ব্ল্যাক রাইস কোনো কৃষক করতে চাইলে কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Advertisement