Homeসব খবরবিনোদনএখনো সু-অভিনেতা হতে পারিনি : আলমগীর

এখনো সু-অভিনেতা হতে পারিনি : আলমগীর

গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) অভিনয় জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আলমগীর। দীর্ঘ এই পথচলায় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জনের ঝুলিতে জমা করেছেন সংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এমনকি দেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাওার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।

‘আমি সিনেমা খাই, সিনেমা পান করি, সিনেমাতে ঘুমাই, সিনেমাই আমার সব।’— নিজের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমার জন্মভূমি’র স্থিরচিত্র রেখে দেওয়া প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন এই নায়ক। জনপ্রিয় এই অভিনেতার চলচ্চিত্র যাত্রার ৫০ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তার সহকর্মী, পরিবার থেকে শুরু করে অনেকেই।

১৯৭২ সালের ২৪ জুন আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করেন। এরপর থেকে এখন অবধি ২২৫টি বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রের সঙ্গে ৫০ বছর পার করা এই অভিনেতা নিজের অভিনয় জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে আরও বলেন, ‘এখনও সু-অভিনেতা হতে পারিনি। কারণ শিল্পী হওয়া এত সহজ নয়। অভিনয়ে পূর্ণমান ১০০-তে নিজেকে পাস মার্কস দিতে রাজি, এর বেশি নয়।’

গুণী অভিনেত্রী ববিতা বলেন, ‘অভিনয়ে ৫০ বছর পরিপূর্ণতা লাভ করা একজন শিল্পীর জন্য বিরাট ব্যাপার বলেই আমি মনে করি। কারণ কিছুদিন আগে আমার জীবনেও এমন সময় এসেছিল। আলমগীর ভাই অপূর্ব একজন মানুষ। তিনি সবসময়ই শিল্পীদের খোঁজখবর রাখেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ঝুমকা ও নির্দোষ সিনেমায় কাজ করার। এছাড়া বেশকিছু সিনেমাতে আমরা একসঙ্গে অভিনয় করেছি। আমার প্রযোজিত পোকা মাকড়ের ঘর বসতি সিনেমায় অভিনয় করেও তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। অথচ এই সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তিনি কোনো সম্মানী নেননি। এমন মহান মানুষের অভিনয় জীবনের সুবর্ণজয়ন্তীতে আমার শ্রদ্ধা, সম্মান, শুভেচ্ছা।’

এদিকে গুণী এই অভিনেতা অসংখ্য সম্মাননা, পুরস্কার এবং প্রশংসা পেলেও এখনও দেশের চলচ্চিত্রকে অনেককিছু তার দেওয়ার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন অভিনেতার মেয়ে আঁখি আলমগীর।

আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘আমার আজেকর আঁখি আলমগীর হয়ে ওঠা পর্যন্ত বাবার তো আসলে অনেকগুলো ধাপ আমার নিজের চোখে দেখা। আমার বাবা এমন একজন শক্তিমান অভিনেতা, যার অভিনয়ে এখনও অনেক আগ্রহ রয়েছে। এখনও তাকে নিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন এই সময়ে এসে যে ধরনের গল্পের সিনেমাতে অভিনয় করেছেন সেই ধরেনর সিনেমা নিমা‌র্ণ সম্ভব। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সিনেমার দর্শককে ঠকানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে প্রথম ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত টানা ৪ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি, যা আজও কেউ ভাঙতে পারেনি। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও সফল এই অভিনেতা। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ঝুমকা’ এবং পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’। এছাড়া মোস্তফা মেহমুদের ‘মনিহার’ সিনেমায় তিনি প্রথম গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সত্য সাহার সুরে প্লেব্যাক করেন

Advertisement