Homeসব খবরজেলার খবরঈশ্বরদীর পদ্মার চরে বাদাম চাষে লাভবান কৃষক

ঈশ্বরদীর পদ্মার চরে বাদাম চাষে লাভবান কৃষক

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁড়া ইউনিয়নের চরাঞ্চালে সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়। এই ইউনিয়নের ইসলাম পাড়া, মোল্লাপাড়া চর, শেখেরচক, আরামবাড়িয়া ও সাঁড়া গ্রামের চরজুড়ে এবার বাদামের আবাদ হয়েছে। এছাড়াও লীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর, দাদাপুর, ডিগ্রিরচর ও লীকুন্ডা চরেও ব্যাপকভাবে বাদামের চাষ হয়েছে।

ঈশ্বরদীর পদ্মার চরজুড়ে বাদাম চাষে ভাগ্য ফিরেছে চরাঞ্চলের কৃষকদের। বাদাম তোলা, শুকানো ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এবারে ফলন ও বাদাম বিক্রি করে দাম বেশি পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। একসময়ের বিস্তীর্ণ পদ্মার অনাবাদি বালুচরে ফসল না হওয়ায় সেদিকে কারো নজর ছিল না। এখন বালুচরে ফলছে বিভিন্ন জাতের বাদাম।

কৃষকরা জানান, বিঘা প্রতি বাদাম চাষে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ বাদাম হয়েছে। প্রতি বিঘার বাদাম বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতি মণে বাদামের দাম বেড়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। ইসলামপাড়া গ্রামের সরোয়ার জানান, ১০ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় লাভ হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। আগামীতে এ চরে আরও বেশি বাদাম চাষ হবে।

লক্ষীকুন্ডার দাদাপুর চরের কৃষক লুৎফর বলেন, যৌথভাবে ১০ জন কৃষক ৩০ একর জমিতে বাদাম আবাদ করেছি। ফলন হবে প্রায় ৯০০ মণ। দাম প্রায় ৩০ লাখ টাকা। চাষাবাদে ১৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় লাভও বেশি হবে। শেখেরচক গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, এক সময় আমার বাপ-দাদার ভিটা ছিল এ চরে। নদী সব কেড়ে নিয়েছে। ধূ ধূ এ বালুচরে ১০ বছর আগেও কোনো ফসল হতো না। এখন চরের মাঠে তাকালে শুধু সবুজের সমারোহ। চরজুড়ে বাদাম আর বাদাম। অনাবাদি বালুচরে চাষিরা বাদাম চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।

দিনমজুর রত্না খাতুন বলেন, এক মণ বাদাম তুলে ৪০০ টাকা পাই। প্রতিদিন এক থেকে দেড় মণ পর্যন্ত বাদাম তোলা যায়। ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমাদেরও আয়ও ভালো হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, পদ্মার তীরবর্তী সাঁড়া ইউনিয়ন ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে এবার বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। এখানে বিনা ও বারী জাতের বাদামের চাষাবাদ বেশি হয়।

Advertisement