Homeসব খবরবিনোদনআমরা নিজেরাও বুঝতে পারি না দর্শকরা কী চান :...

আমরা নিজেরাও বুঝতে পারি না দর্শকরা কী চান : পূজা চেরী

এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী। গত ঈদে শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবার জুটি বেঁধেই বেশ প্রশংসিত হয়েছেন এই নায়িকা। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি আসছে ঈদেও নতুন ছবির মুক্তির খবরে আছেন তিনি।

শাকিব খানের সঙ্গে আবারও অনুদানের সিনেমায় যুক্ত হচ্ছেন- বিষয়টি নিয়ে জানতে চাই

হ্যাঁ, সিনেমাটিতে আমার অভিনয় করার কথা রয়েছে। এখন সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হইনি, তবে শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। যেহেতু তিনি এখন দেশের বাইরে আছেন সেহেতু উনি দেশে ফেরার পর সব কিছু ঠিকঠাক হবে। অনেকেই বলছেন, সিনেমাটির নাম ভূমিকায় আমি থাকছি। তবে সিনেমাটির নাম পরিবর্তন হতে পারে।

‘গলুই’-এর সফলতায় শাকিবের সঙ্গে আবার জুটি বাঁধছেন। তাহলে ইন্ডাস্ট্রি নতুন একটি জুটি পাচ্ছে কি-না?

যেহেতু কাজ করছি এবং সেহেতু অনেকের সঙ্গেই জুটি বাঁধতে হচ্ছে। কেউ কেউ নেগেটিভ বললেও বেশিরভাগ সময় পজেটিভ রিভিউ পাচ্ছি। এর আগে সিয়ামের সঙ্গে আমার জুটি বেশ ভালোভাবে দর্শকরা গ্রহণ করেছেন। এরপর শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম সিনেমাটিও অনেক ভালোবেসে গ্রহণ করেছেন। সেই জায়গা থেকে নতুন একটি জুটি দর্শকরা সাদরে গ্রহণ করছেন এটা অনেক বড় পাওয়া।

এর বাইরে আসছে ঈদে আপনার ‘সাইকো’ সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আদৌ কী সিনেমাটি প্রেক্ষগৃহে আসবে?

এখন পর্যন্ত নির্মাতাদের সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে তাতে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সকল প্রস্তুতি চলছে। মুক্তি না পাওয়ার কোনো কারণ আপাতত দেখছি না।

গত ঈদে শাকিব-পূজার ‘গলুই’ সিনেমাটি বেশ ব্যবসাসফল হয়েছিল। সেই জায়গায় অন্য নায়কের সঙ্গে এই আপনার ‘সাইকো’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি ঘিরে পূজার প্রত্যাশা কেমন?

দেখুন, আমার কাছে যখন কোনো সিনেমার প্রস্তাব আসে তখন আমি আগে দেখি সেটা আমি করতে পারব কি-না! আমার যদি কনফিডেন্ট না থাকে যে, এটা মনে হয় ভালো হবে না বা কাজ করার জন্য করা—এমন কাজ কিন্তু আমি কখনোই করি না। কিন্তু ‘সাইকো’র গল্প শুনে ভালো লেগেছিল এবং মনে হয়েছিল কাজটি আমি ভালোভাবে করতে পারব, যে কারণেই সিনেমাটিতে যুক্ত হয়েছি। এদিকে রোশানও এখন অনেক ভালো কাজ করছে। এছাড়া সিনেমাটির নির্মাতা অনেক যত্ন নিয়ে নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি সিনেমাটিতে অনেক গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন। তাই আমার মনে হয়, সিনেমাটি হলে এসে দর্শকরা দেখলে হতাশ হবেন না।

কিন্তু বরাবরের মতো এবারের সিনেমাগুলো নিয়েও তেমন প্রচারণা চোখে পড়েছে না। প্রচারণার এই ঘাটতি নিয়ে কী বলবেন?

আমার দিক থেকে আমি তো সবসময় চেষ্টা করি সিনেমার প্রচারণায় যাওয়ার। আমরা যে একটি ভালো সিনেমা নির্মাণ করেছি সেটা সবাইকে জানানোর চেষ্টা করি। যেন তারা হলে এসে সিনেমাটি দেখেন। আমার মনে হয়, শুধু নিজের সিনেমা নয়, সবাই সবার সিনেমার প্রচারণায় অংশ নেওয়া উচিত। সেটা যে মাধ্যমেই হোক।

হলে নিয়মিত সিনেমা মুক্তি পেলেও দু-একটি সিনেমা ছাড়া বাকিগুলো দর্শক ফেরাতে ব্যর্থ। এই অবস্থার জন্য কাকে দায়ী করবেন?

এক সময় সাবানা ম্যাম, ববিতা ম্যাম, মৌসুমী ম্যামসহ অন্যারা যখন কাজ করতেন তখন লুকিয়ে হলেও মানুষ হলে যেতেন। কিন্তু মাঝে কোনো এক কারণে এই চর্চা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এখন বিশ্বাস করাতে পারছি না যে, আমরাও এখন ভালো কাজ করছি। তাছাড়া এখন দর্শকদের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমরা নিজেরাও বুঝতে পারি না দর্শকরা কী চান! এক সময় দেখা যাচ্ছে অফট্র্যাকের একটি সিনেমা হিট হচ্ছে, পরে সেটা আর দর্শক দেখছেন না। আবার অনেক সময় ফুল কমার্শিয়াল সিনেমাও ব্যবসা করছে না। তাই দর্শকদের বলবো আমরা চেষ্টা করছি ভালো কাজ করার, আপনাদেরও দায় রয়েছে সিনেমাটি ভালো না খারাপ সেটা হলে এসে বিচার করার।

সূত্র: ইত্তেফাক

Advertisement