Homeসব খবরজাতীয়আমরাও চাঁদে যাব : প্রধানমন্ত্রী

আমরাও চাঁদে যাব : প্রধানমন্ত্রী

শনিবার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন (সফট ওপেনিং) করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশপাশের দেশ চাঁদে চলে যায়, আমরাও চাঁদে যাব, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ রুট হতে পারে। বাংলাদেশ হবে একসময় আকাশপথে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের হাব। এই টার্মিনাল উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ স্পর্শ করল দেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কো’ভিড এর মধ্যেও দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ সাহসী ভূমিকা না নিলে এটা শেষ হতো না। দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোকেও উন্নত করা হবে, এছাড়াও দেশের সকল বিমানবন্দরের সাথে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে যুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ রয়েছে সরকারের। এছাড়াও আন্তঃজেলা যোগাযোগ বিমানের মাধ্যমে পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। এছাড়াও জেট ফুয়েল সরাসরি বিমানবন্দরের পৌঁছানোর জন্য পাইপলাইন এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছিলেন। তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে। এছাড়াও বহুতল কার পার্কিংয়ে রাখা যাবে এক হাজার ৪৪টি গাড়ী। নতুন টার্মিনালে এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

ই-গেট, হাতের স্পর্শ ছাড়া চেকিং, যাত্রীদের চলাচলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংকেত ব্যবস্থা ও নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যাবে এই টার্মিনালে। সুপরিসর অ্যাপ্রোন, বিশাল গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত লাগেজ বেল্ট যাত্রীদের দেবে নতুন অভিজ্ঞতা।হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় এই টার্মিনালের নকশা করেছেন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকার রোহানি বাহারিন।

Advertisement