ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস ও ব্যাংক সংগঠন দাম বেঁধে দেয়ার পরও প্রতিদিনই বাড়ছে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম। বুধবার তা দাঁড়ায় প্রায় ১০৭ টাকায়। এদিকে, আমদানিতে ডলার প্রতি ১শ সাড়ে ৭ টাকা পর্যন্ত হাকাচ্ছে ব্যাংকগুলো। আমদানি ও রপ্তানিতে দরের বড় ব্যবধান ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা বাড়াবে বলে মত ব্যাবসায়ীদের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলার কেনাবেচায় ব্যাংকগুলো কেবল নিজের স্বার্থ দেখছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয়সহ নানা কারণে বাড়ছে ডলারের চাহিদা। এমন প্রেক্ষাপটে টালমাটাল ডলারের বাজার। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সুফল না মেলায় বাফেদা ও এবিবি’র হাতে দাম নির্ধারণের ভার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার সংগঠন দুটির শীর্ষ প্রতিনিধিরা রপ্তানির মাধ্যমে আনা প্রতি ডলার ৯৯ টাকা এবং প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ১০৮ টাকা দাম বেঁধে দেয়। আমদানির ক্ষেত্রে তারা সামেন রাখেন ডলারের গড় দামের সাথে ১ টাকা যুক্ত করার জটিল হিসাব।
ব্যাংক ভেদে ডলারপ্রতি এখন একশ সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৭ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। গড় দামের মারপ্যাচে বাড়তি খরচে পড়ার দাবি ব্যবসায়ীদের। বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান রপ্তানির সাথে আমদানির রেটের পার্থক্য বড় হতে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন কোনো মেশিন, কেমিক্যাল আমদানির করা হবে তখন অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়।
বাফেদা ও এবিবি’র নেয়া উদ্যোগও ডলারের সংকট সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ অমাহফুজ কবির বলেন, ব্যাংক গুলাে ডলার কেনা-বেঁচার ব্যবসা করে বিপুল পরিমানে মুনাফা করছে। ফলে বৈদেশিক বানিজ্যে ঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আন্তঃব্যাংক ডলার দর প্রকাশ করছে বাফেদার দেয়া তথ্যে। বুধবার ব্যাংকগুলোর গড় বিক্রয়মূল্য ডলারপ্রতি ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা। মঙ্গলবার যা ছিলো ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা।