Homeসব খবরজাতীয়আওয়ামী লীগ ১৪ বছরে বিএনপির ওপর কোনো অ’ত্যাচার করেনি...

আওয়ামী লীগ ১৪ বছরে বিএনপির ওপর কোনো অ’ত্যাচার করেনি : তোফায়েল

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপির ওপর কোনো অত্যা’চার, নির্যা’তন করেনি। অথচ বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারেননি। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগ সেই রাজনীতি করে না। গত সোমবার (০৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘ’র্ষের মূল কারণ বিএনপি। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক’স্মিক হাম’লা করে। বাধ্য হয়ে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গু’লি চালায়। এ ঘটনায় দুজন মা’রা যান। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বিএনপির হামলার ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্য আ’হত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তৃর্ণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর করলেও বিএনপি তা করে না। তাই তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। দলটি তেল, গ্যাস নিয়ে কথা বলে। আমার প্রশ্ন, ওদের ক্ষমতার সময় কি অবস্থা ছিল?

আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, আমরা এখন ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। আমরা ২০০১ সালে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলাম। পরে তাদের সময়ে তা ৩ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে। পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি সংকট হয়। বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তার কারণে এ সং’কট অচিরেই কেটে যাবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি জনবান্ধব দল। তার সময়ে উন্নয়ন শহর থেকে গ্রামেও এসেছে। এর বাইরে নয় ভোলাও। এ জেলার অধিকাংশ কাজই আমি সম্পন্ন করেছি। রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একটি কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে তা হল ভোলা-বরিশাল ব্রীজ। পদ্ম সেতু হয়ে গেছে। এখন প্রাধনমন্ত্রীর নেতৃত্বে অচিরেই ভোলা-বরিশাল ব্রীজের কাজ সম্পন্ন হবে।

ভোলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোলাকে সুন্দর করে সাজাতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। রাস্তার কাজ শেষ হলে সুন্দর চমৎকার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে সার্বিক কাজে সহায়তা করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. সফিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, ভোলা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন লিংকন, ভোলা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম প্রমুখ।

Advertisement