Homeসব খবরবিনোদনঅ'শ্লীল ভিডিও’র নোটিশে অসুস্থ পরীমণি!

অ’শ্লীল ভিডিও’র নোটিশে অসুস্থ পরীমণি!

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির সব ধরনের অ’শ্লীল ছবি ও ভি’ডিও অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অশ্লীল অঙ্গভ’ঙ্গি করা থেকে বিরত থাকতে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশে ভবিষ্যতে সব ধরনের অ’শ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভ’ঙ্গি যার কোনও শৈল্পিক মূল্য নেই; এমন বিষয় থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার জন্য তাকে বলা হয়েছে।

এদিকে পরীমণি জানিয়েছেন, তার হাতে এখনও নোটিশ আসেনি। তবে তিনি গণমাধ্যম থেকে খবরটি জানতে পেরেছেন। আর এ খবর পেয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এখনও নোটিশ হাতে পাইনি। পাওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলতে পারব। এর আগে আদালত থেকে আমাকে যখন বলা হয়েছিল, তখন ১ ঘণ্টার মধ্যে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলি। এখন যে ভিডিওর কথা বলা হয়েছে, সেগুলো আমি শেয়ার করিনি। বরং আমার ব্যক্তিগত ভি’ডিও অন্য কেউ ফেসবুকে দিয়েছে। নোটিশ হাতে না পেলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আজকের খবরটি পেয়েছি। দেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এমন অত্যাচারের মানে হয় না।’

পরীমণি আরও বলেন, ‘আমার ফেসবুক তো সবার জন্য খোলা। একটু দেখে নিন আর তারপর বলুন আমার পেজে ঠিক কোন ভি’ডিওটা অ’শ্লীল। আমার পেজে এমন কোনো ভি’ডিও নেই যেটা সরাতে হবে। যদি সরাতেই হয় তাহলে আমাকে অ’পমান করে যারা ভি’ডিও বানিয়েছে, তাদের সরাতে হবে। ফেসবুক সম্পর্কে আগে তো জানতে হবে তাদের।’

গতকাল সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিএফডিসির ঠিকানায় পরীমণিকে এ নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার। নোটিশে বলা হয়, পরীমণি গত ১ সেপ্টেম্বর মা’দক মা’মলায় কারা’গার থেকে জামিনে মুক্তি পান। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় তার হাতের তালুতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’।

এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর পরীমণি মাম’লার শুনানির জন্য আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। সেদিনও হাতের তালুতে যা লেখা ছিল তা অ’শ্লীল। এছাড়া পরীমণি গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে ৩০তম বার্থডে পার্টির আয়োজন করেন। সেদিন তার পোশক ও প্রদর্শিত অ’ঙ্গভঙ্গি অশ্লীল বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, পরীমণি একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিধায় অনেকেই তাকে অনুসরণ করে। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। শিশু-কিশোরদের গণ্ডি ছোট থাকে। চোখের সামনে তারা যা দেখে অনায়াসে তা আয়ত্ত করে ফেলে। তাই পরীমণিকে এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

নোটিশে বলা হয়, প’র্নোগ্রাফি আইন-২০১২ সালের ২-এর ‘গ’ উপধারায় ‘যৌ’ন উ’ত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনও অ’শ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভ’ঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধন’গ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র, ভি’ডিওচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনও উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনও শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই’ তাকে প’র্নোগ্রাফি বলা হয়েছে।

এ ধরনের অপরাধের শা’স্তি সম্পর্কে একই আইনের ৮ ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি প’র্নোগ্রাফি প্রদর্শনের মাধ্যমে গণউপদ্রব সৃষ্টি করিলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং ওইরূপ অপ’রাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ’ণ্ড এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ’ণ্ডে দ’ণ্ডিত হবেন। প’র্নোগ্রাফি আইনের অপ’রাধগুলো আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য নয়।’

পরীমণি প’র্নোগ্রাফি আই’নে গ্রাফিকস বা অন্য কোনও উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনও শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই সংজ্ঞা মতে অপ’রাধ করেছেন। বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতির সুন্দর ঐতিহ্য আছে। পরীমণির কাছ থেকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন শিল্পী হিসেবে সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ সবাই প্রত্যাশা করেন।

লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবীরা বলেন, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পরিমণি যদি অ’শ্লীল সব অ’ডিও-ভি’ডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে না নেন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না থাকেন; তবে তার বিরু’দ্ধে প্রচলিত আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় আ’ইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Advertisement