Homeসব খবরজেলার খবরমাল্টা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে যুবকরা!

মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে যুবকরা!

মাল্টা বাগান করে আনিসুলকে সফল হতে দেখে টুঙ্গিপাড়ার আরো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ২৫ জন বেকার যুবক ছোট-বড় মাল্টা বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সফল ও স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের আনিসুল হক বাদল পতিত জমিতে মাল্টা বাগান করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে দেশে সবুজ মাল্টার চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে চাষ।

মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। দেশি সবুজ মাল্টা রসালো ও খেতে সুস্বাদু। বিদেশি মাল্টার পাশাপাশি দেশি মাল্টার চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সবুজ দেশি মাল্টার চাষ হচ্ছে। মাল্টা চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী ও সফল হয়েছেন।

মাল্টা চাষি আনিসুল হক বাদল বলেন, আমি ব্যবসা করি। ৩ বছর আগে কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমার ৫২ শতক জায়গায় বারি-১ জাতের ৩৫০টি মাল্টার চারা রোপন করি। এই তিন বছরে মাল্টা বাগানে আমার ৫ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এই বছর মাল্টা বাগানে বাম্পার ফলন পেয়েছি। আশা করছি, এই বছর ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারব। এই মাল্টা গোপালগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভান্ন জায়গায় বিক্রি করছি। অনেকেই আমার কাছে মাল্টা বাগান করার জন্য পরামর্শ নিতে আসছেন। আমি তাদের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছি।

পাটগাতী গ্রামের রমজান সরদার বলেন, আমি আনিসুলের মাল্টা বাগান দেখে বাগান করতে আগ্রহী হয়েছি। মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমি ১ একর জমিতে মাল্টার চাষ করবো। তাই আনিসুলের কাছে পরামর্শ নিতে আসি।

গোপালপুর গ্রামের সমীর বিশ্বাস বলেন, দেশি সবুজ এই মাল্টা সম্ভাবনাময় ও উচ্চফলনশীল। বাজারে এর দামও ভালো। দেশি সবুজ এই মাল্টা বাজারে ৭০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। অন্যান্য সবজির তুলনায় মাল্টার চাষে লাভ বেশি। আমিও মাল্টার চাষ করবো।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগ আনিসুলকে মাল্টা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। তাকে প্রকল্পের আওতায় এনে মাল্টা চাষের জন্য চারা, জৈবসার, ডিএপি সার, এমওপি সার, জীপসাম ও জিংক সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। তার মাল্টা বাগান দেখে এই উপজেলার আরো ২৫ জন যুবক মাল্টা বাগান শুরু করেছেন।

Advertisement