Homeসব খবরজেলার খবরদার্জিলিং কমলা চাষে সফল শ্রীপুরের চার উদ্যোক্তা

দার্জিলিং কমলা চাষে সফল শ্রীপুরের চার উদ্যোক্তা

বাগানটি গড়ে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামে। সেখানে চার উদ্যোক্তা ৩ বছর আগে হর্টিকালচার থেকে কিছু চারা ক্রয় করে ৮ বিঘা জমিতে রোপণ করেন। দুই বছরের মাথায় আশানুরূপ ফল হওয়ায় বাগানের পরিধি বাড়ান। এখন তার বাগানে প্রায় ২০০টি কমলা গাছ রয়েছে। নিভৃত পল্লির সবুজ প্রকৃতির ভেতর বিশাল এলাকাজুড়ে কমলাবাগান। গাজীপুরের শ্রীপুরে দার্জিলিং জাতের কমলা বাগান করে লাভবান হয়েছেন চার উদ্যোক্তা। এই বছর তাদের বাগান থেকে কমপক্ষে ১০-১৫ মণ কমলা উৎপাদনের আশা করছেন তারা। ২০০ টাকা কেজি দরে যার বাজারমূল্য প্রায় ২-৩ লাখ টাকা। কমলাবাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন সাতখামাইর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে মো. সবুজ মিয়া।

সারি সারি কমলাগাছের ভেতর হেঁটে বেড়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চারদিকে শুধু কাঁচা-পাকা কমলার থোকা।সবুজ মিয়া বলেন, ১৫ দিন যাবত বাগান থেকে কমলা বিক্রি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে কাটিমন আম। গাছ থেকে নিজ হাতে তোলা প্রতি কেজি কমলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। বাগানে ১০০টি দার্জিলিং ও ৫০টি চায়না ম্যান্ডারিন কমলাগাছের চারা আছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে ফলন এসেছে।১৫ দিন ধরে বাগান থেকে কমলা বিক্রি শুরু হয়েছে। চার উদ্যোক্তা ২০২১ সালে আট বিঘা জায়গা ১০ বছরের জন্য ইজারা নেন। এরপর সেখানে দেড় বিঘা এলাকায় দুই জাতের কমলার চারা রোপণ করেন। মোট জমির বাকি অংশে বরই, আম, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফলের চাষ করেন। নাটোর থেকে উন্নত জাতের কমলার চারা এনে বাগানে রোপণ করা হয়েছে। এ বছর থেকে কমলাবাগানে ফলন আসা শুরু হয়েছে। মানুষ নিজের হাতে কমলা তুলে নিতে পারছেন বলে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

ঘুরে ঘুরে কমলা কিনছিলেন জৈনাবাজার এলাকার তাপস। তিনি বলেন, নিজে পছন্দ করে গাছ থেকে কমলা তুলতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। অন্তত রাসায়নিকমুক্ত ফল পাচ্ছি, এতেই খুশি। তিনি পরিবারের জন্য এখান থেকে কমলা নিতে এসেছেন। আরেক ক্রেতা মামুন বলেন, এই বাগানের কমলাগুলোর আকার এবং রং বেশ আকর্ষণীয়। বাজারের কমলার চেয়ে এর স্বাদ ও রস অনেক বেশি।

বাগানের উদ্যোক্তাদের একজন মো. ফারুক আহমেদ বলেন, প্রথম বছর আশানুরূপ ফলন এসেছে। বাগানের বয়স বাড়লে আরো বেশি ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ক্রেতাদের কাছে তরতাজা ফল তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ তাদের।

বাগানের আরেক উদ্যোক্তা আবদুল মতিন জানান, বাগানের বয়স ৩ বছর হলেও এ বছর হলো ভালো ফলন আসছে। এবার প্রচুর পরিমাণে ফল ধরেছে। নভেম্বর মাস থেকে বাগানের উৎপাদিত কমলা বিক্রি শুরু হয়েছে। বাগানের এসব ফল স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে দুই শতাধিক গাছের এই বাগানের প্রতিটিতে ৮ থেকে ৯শ কমলা ধরেছে। চলছে ফল বিক্রি কার্যক্রম। উৎপাদিত কমলা কিনতে বাগানেই ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকেই প্রতি কেজি কমলা বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

Advertisement