Homeসব খবরজাতীয়স্বাস্থ্যের সচিবরা গাছেরটাও খায়, তলারটাও কুড়ায় : সাবেক ছাত্রলীগ...

স্বাস্থ্যের সচিবরা গাছেরটাও খায়, তলারটাও কুড়ায় : সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুদিন পরপর ভূতের আছর পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। তিনি বলেন, সচিব হয়ে মান্নান কিংবা উপসচিবরা মন্ত্রণালয়কে তাদের ডেরায় পরিণত করে। তারা গাছেরটাও খায়, তলারটাও কুড়ায়।

মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনের ফেসবুক পোস্ট পাঠকের জন্য হুবহ তুলে ধরা হলো:

‘তখন স্বাস্থ্যসচিব ছিলো মি. মান্নান সাহেব। তিনি গল্প করতেন মহসিন হলে ছাত্রলীগ করতেন, পরে জানলাম কোনোদিনও ছাত্রলীগ করেন নাই, বরং জাসদ করতেন। যাই হোক, রাজনীতি যেহেতু করি নানাজন আসতো চেষ্টা তদবিরের জন্য। মানুষের জন্য কাজ করি, করতে ভালোবাসি, তো একদিন ছাত্রলীগের এক বড় ভাইয়ের জন্য গিয়েছিলাম তাঁর কাছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসার পর অবশেষে সাক্ষাৎ পাইলাম। কিন্তু তিনি যে আচরণ করলেন তাতে রীতিমত অবাক! সচিব হলে কী মানুষ ঈশ্বর বা ভগবান হয়ে যায়? তারা কী হিমালয়ে থাকেন?

তিনি বললেন, কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিএমএ সাচিব-এর নেতৃবৃন্দসহ কাউকেই তিনি পাত্তা দেন না। তিনি দাবি করেন, আপা নাকি তাকে বলেছেন নিজের মতো করে মন্ত্রণালয় চালানোর জন্য, কারো কথা শোনা যাবে না! উনি হয়তো উত্তেজনায় ভুলে গেছেন মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রীও থাকেন। যা বলছিলাম, হঠাৎ করে শুনলাম এই ব্যবসায়ী বিশাল ক্ষমতাধর কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেছেন। সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের কাছে বিশিষ্ট সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম হেনস্থার শিকার হয়েছেন। রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আইন আদালত করে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। এটা এককথায় বলব বিষয়টি দুঃখজনক, নিন্দা জানাই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে দুদিন পরপর ভূতের আছর পড়ে। সচিব হয়ে মান্নান কিংবা এই সব উপসচিবরা তাদের ডেরায় পরিণত করে। তারা গাছেরটাও খায়, তলারটাও কুড়ায়! সাবেক ছাত্রনেতা, যুবনেতা মিঠু ভাইয়ের সহধর্মিনী অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম-এর নিঃশর্ত মুক্তি চাই!’

ওই পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের পদত্যাগ দাবি করেছেন। আল হাসান নামে একজন কমেন্টে লিখেছেন, প্রথমত গোড়ায় গণ্ডগোল। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওনাকে দিয়ে আগে আগাছা পরিষ্কার শুরু হোক। সরকারের সব অর্জন ওরা শেষ করছে। দুনীর্তিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। একজন সাংবাদিককে এভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মৃধা মাইদুল ইসলাম লিখেছেন, অযোগ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ এবং মন্ত্রণালয়ের যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। তাহলেই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। শেখ বাশার নামে একজন লিখেছেন, স্বাস্থ্য খাতের প্রতিটা ক্ষেত্র দুর্নীতির আস্তানা। আপার (প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা) সুদৃষ্টি কামনা করছি। এরকম জেবুন্নেছাদের চিহ্নিত করে দুদক-এর আওতায় আনা হোক। কীভাবে তারা অনেক সম্পত্তির মালিক হলেন।

Advertisement