Homeসব খবরআন্তর্জাতিকমিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী আরো একবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির অধিকাংশ স্থানে এখনও টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শহরটির আশেপাশের এলাকাগুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনই তথ্যই জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অভ্যুত্থানের খবরে আতঙ্কিত হয়ে মিয়ানমারের মানুষ টাকা তোলার জন্য এটিএম বুথের সামনে জড়ো হচ্ছেন। অনেক বুথের সামনে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি মানুষজন এটিএম বুথ থেকে টাকাও তুলতে পারছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ইয়াঙ্গুরনের বাসিন্দারা এরই মধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। অনেকেই বাইরে বের হয়ে খাবার ও শুকনো খাবার কিনতে শুরু করেছেন। তবে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন যে দোকানে চাল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ইয়াঙ্গুনে বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সংবাদদাতা নিয়েন চান আয়ে জানান, শহরটির আঞ্চলিক পার্লামেন্ট এবং আঞ্চলিক সরকারি অফিসগুলোর দখল নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বেসামরিক কর্মকর্তাদের এসব দপ্তরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

গত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চি-র রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, নির্বাচনে জালিয়াতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এক বছর যাবত তারা ক্ষমতায় থাকবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এলএনডি জানিয়েছে যে তাদের নেতা সু চি জনগণকে এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে না নেওয়ার এবং প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ইয়াঙ্গুনে – যা এক সময় পরিচিত ছিল রেঙ্গুন নামে – সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন সংবাদদাতা নিয়েন চান আয়ে।তবে এক দল স্বঘোষিত ‘জাতীয়তাবাদী অ্যাক্টিভিস্ট’কে শহরে উল্লাস করতে দেখা গেছে তিনি জানান। তাদেরই একজন বিবিসিকে জানিয়েছেন যে তারা শহরজুড়ে আনন্দ মিছিল করবেন।

গত কয়েকদিন ধরে কয়েকটি জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠিকে ইয়াঙ্গনে সেনাবাহিনীর সমর্থনে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। মিয়ানমারে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে এবং এখনও অভ্যুত্থানের বিপক্ষে কোনো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ দেখা যায়নি। রাজধানী নেপিদো-তে সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিফোন নেটওয়ার্কের শুধুমাত্র টেলিফোন সেবা ফিরে এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

Advertisement