Homeসব খবরজেলার খবরব্ল্যাক কুইন তরমুজ চাষ; ২ লাখ টাকা লাভের আশা

ব্ল্যাক কুইন তরমুজ চাষ; ২ লাখ টাকা লাভের আশা

তিনি অনলাইনের মাধ্যমে তরমুজ চাষ দেখে আগ্রহী হন। এতে সফলতাও পেয়েছেন তিনি। তার সফলতা দেখে এলাকার আরো অনেক যুবক ব্ল্যাক কুইন তরমুজ চাষ করছেন। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের মো. মোফাজ্জল হোসেন ব্ল্যাক কুইন তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন। এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের তেমন চাষ হয় না।

মোফাজ্জল হোসেন তার বাবার মুদি দোকানে বসার পাশাপাশি নিজেদের জমিতেও চাষাবাদ করতেন। গত বছর পরিক্ষামূলকভাবে কয়েকটি চারা লাগান। ফলন ভালো হওয়ায় এবছর বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। এবছর তার জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তার সফলতা দেখে এই এলাকার আরো অনেকে তরমুজ চাষ আগ্রহী হচ্ছেন। তার এই সফলতা দেখে খুশি তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

দেখা যায়, মোফাজ্জলের জমিতে ছোট ছোট মাচায় ঝুলছে কালো রঙের নানা আকৃতির তরমুজ। এই তরমুজের ভেতরটা লাল টকটকে, খেতে খুবই মিষ্টি। তাই বিভিন্ন জেলার পাইকাররা জমি থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

চাষি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাবার মুদি দোকানেও বসতাম আবার বাবার সাথে আমাদের জমিতে চাষাবাদও করতাম। হঠাৎ একদিন অনলাইনের মাধ্যেমে ব্ল্যাক কুইন তরমুজের চাষ পদ্ধতি দেখতে পাই। তারপর এই তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হই। আমার দেখাদেখি অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমি তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি। গত বছর পরিক্ষামূলকভাবে কয়েকটি চারা লাগিয়ে ভালো ফল পাই। তাই এবছর বাণিজ্যিকভাবে ৭০ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ করছি। তরমুজ চাষে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। তাতে লাভ হবে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো। সব মিলিয়ে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো।

কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম বলেন, ব্ল্যাক কুইন তরমুজ তাইওয়ান থেকে আনীত কালো রঙের ৩-৫ কেজি ওজনের অত্যন্ত সুমিষ্ট একটা গ্রীষ্মকালীন ফল। এবছর পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১০ বিঘা জমিতে ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। আশা করছি আগামীতে আরও বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হবে। মোফাজ্জল হোসেনের সফলতা দেখে আরো অনেক যুবক এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছে।

Advertisement