Homeসব খবরজেলার খবরতরমুজ বিক্রি করে লাভবান ভোলার কৃষকরা

তরমুজ বিক্রি করে লাভবান ভোলার কৃষকরা

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই অঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন এবং পাইকাররা জমিতে থেকেই কৃষকের উৎপাদিত তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন। এতে লাভবান হতে পারছেন কৃষকরা। ভোলার কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আসন্ন রমজান মাস ও দেশে তরমুজের চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষ করেছেন।

জানা যায়, বর্তমানে ভোলার মাঠ-ঘাট ও বাজারগুলোতে তরমুজে তরমুজে সয়লাব হয়েছে। শীতকাল শেষ হয়ে গরমকাল শুরুর দিকে। বেশি লাভের আশায় কৃষকের আগাম চাষ। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় জমি থেকেই পাইকারদের তরমুজ কিনে নেওয়া। এতে কৃষক থেকে পাইকার তারপর ভোক্তা পর্যন্ত পৌছে সবাই লাভবান হতে পারছেন। সেই তরমুজ স্থানীয় বাজার হয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।

জেলার নজরুল নগর ইউনিয়নের কৃষক মোশারেফ হোসেন বলেন, আমি এবছর ১ একর জমিতে আগাম তরমুজের চাষ করেছি। চাষে আমার ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পেয়েছি। পাইকাররা জমি থেকেই কিনে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। এতে আমাদের পরিবহন খরচ করতে হচ্ছেনা।

মাঝের চরের কৃষক মো. লাভলু বলেন, মোকামে ১০ কেজি বা তার বেশি ওজনের ১০০ পিস তরমুজ ৩৫-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৮-১০ কেজি ওজনের ১০০ পিস ২২-২৫ হাজার টাকায় এবং ৮ কেজি ওজনের কম গুলো ১০-১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা বলেন, এখন মৌসুমের শুরুর দিক। আর সামনে রমজান মাস। সেই লক্ষ্যেই কৃষকরা আগাম তরমুজের চাষ করেছেন। এখন দাম বেশি থাকায় আমরা কৃষকদের জমি থেকেই কিনে মোকামে নিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি লাভবান হতে পারবো। বর্তমানে বাজারে চাহিদা দাম দুটোই বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে তার দ্বিগুণ। আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা বেশি ফলন পেয়েছেন। আর বর্তমান বাজারদরও ভালো। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহেযাগিতা করছি। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত তরমুজগুলো বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।

Advertisement