Homeসব খবরজেলার খবরড্রাগন চাষে রফিকুলের স্বপ্ন পূরণ, পাঁচ লাখ টাকা বিক্রির...

ড্রাগন চাষে রফিকুলের স্বপ্ন পূরণ, পাঁচ লাখ টাকা বিক্রির আশা

ড্রাগন বিদেশি ফল হলেও বর্তমানে দেশে এর ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার পাশাপাশি দিন দিন এর চাষও বাড়ছে। ফলে বিদেশ থেকে আর আমদানি করতে হচ্ছেনা। খুলনার ডুমুরিয়ার সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম শেখ ড্রাগন চাষে সফল হয়েছেন। এই উপজেলার মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী হওয়ায় বাম্পার ফলন হচ্ছে।

ভিয়েতনামের জাতীয় ফল ড্রাগন। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার পাশাপাশি এর বাজারদরও খুব চড়া। স্বল্প সময়ে অল্প পুঁজিতে ড্রাগন ফল চাষ করে বেকার যুবকদের আয়ের উৎস হওয়ার ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় কৃষি অফিস। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ থাকায় খুলনা জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক আকারে ড্রাগনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র ১০টি কাটিং চারা দিয়ে ড্রাগনের চাষ শুরু করি। ড্রাগনের চারা বা কাটিং রোপণের ১০থেকে ১৫ মাসের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়। এপ্রিল-মে মাসে ফুল আসে আর শেষ হয় নভেম্বর মাসে। ফুল আসার ৩০থেকে ৪০দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফুল ফোটা এবং ফল ধরা অব্যাহত থাকে। এক একটি ফলের ওজন ২৫০গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে চারা কিনছেন, চাষাবাদও করছেন। একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে ১শ’ থেকে ১৩০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন এলাকার অনেক কৌতুহলী মানুষ আসেন তার বাগান দেখতে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর মাত্র ৪ শতাংশ জমি থেকে দুই লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি হয়েছিল। এ বছর ৫১শতাংশ জমিতে ড্রাগনের চাষাবাদ করেছি। প্রতি সপ্তাহে ২/৩ মণ ফলের পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন বিক্রি করছেন গাছের কাটিং বা চারা। বাজারে পাইকারী প্রতি কেজি ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আশা করছি ৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করতে পারবো। আর প্রতিটি চারা বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা দরে। এবছর ড্রাগনের ভালো ফলন হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার নকাটি গ্রামের শামছের মোল্লার ছেলে হাফেজ মোঃ আবুল খায়ের মোল্লা তিনি ৫৭ শতক জমিতে ৩লক্ষ টাকা খরচ করে বাগান করেন। এবছর তিনি ৮লক্ষ টাকার ফল বিক্রয়ের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, দেশের অনেক জেলায় ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। বিদেশি এ ফসল দেশের মাটিতে চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। পাশপাশি এই জেলার চাষিরাও ড্রাগন ফলের চাষ করছেন।

Advertisement