ঢাকাই সিনেমার লাস্যময়ী নায়িকাদের তালিকায় ওপরেই রাখা যায় তাকে। নব্বইয়ের শেষের দিকে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখলেও অভিনয় করেছেন দেড় শতাধিক সিনেমায়। ঘরে রয়েছে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। বলা হচ্ছে অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপির কথা।
আলোচনা-সমালোচনা আর ভাইরালের যুগে কোথায় হারালেন তিনি?
আজ ১০ সেপ্টেম্বর পপির জন্মদিন। অথচ জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী আজও আড়ালেই রয়েছেন। ফেসবুকেও নেই কোন উদযাপন। কোথায় হারালেন তিনি? সবশেষ পোস্ট দেখা গেছে প্রায় দু’বছর আগে। ২০২০ সালে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান এ নায়িকা। এরপর বিয়ে ও সন্তান জন্মের সংবাদে ফের সামনে এসেছেন কয়েকবার। তবে অনেকেই বলছেন, আপাতত সংসার ধর্মেই মন দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমা মুক্তির মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে পর্দায় অভিষেক ঘটে পপির। তবে প্রায় দুই বছর ধরেই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠানেও দেখা যায় না তাকে। অভিনেত্রীর অনুপস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে চলতি কয়েকটি সিনেমার কাজ। সিনেমাগুলোর ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে পরিচালকরাই রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। অভিনেত্রীর হঠাৎ আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় হতাশ ভক্তরা।
করোনার কারণে দীর্ঘ সময় শুটিং বিরতির পর ‘ভালোবাসা প্রজাপতি’ সিনেমার মাধ্যমে নতুন করে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এরপর ২০২১ সালের শুরুর দিকে হঠাৎ করেই আবার পর্দা থেকে সরে দাঁড়ান। এর আগে ২০২০ সালের আগস্টে পপির বিয়ের খবর রটেছিল। তবে সেটা গু’জব বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী কাজ করেছেন ওমর সানী, রিয়াজ, মান্নার মতো অভিনেতাদের সাথে। মান্নার বিপরীতে ‘কে আমার বাবা’ ও ‘লাল বাদশা’, ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত ‘ক্ষেপা বাসু’ ও বাবুল রেজার ‘ওদের ধর’ সিনেমাগুলো ব্যাপক ব্যবসাসফল হয়েছিলো।
পপি ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পপি বড়। পড়াশোনা করেছেন খুলনার মুন্নুজান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন সে সময়ে। ২০০৩ সালে অভিনয় করেন কালাম কায়সার পরিচালিত কারাগার ছায়াছবিতে। এতে এক টোকাই চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন পপি।