Homeসব খবরজেলার খবরছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে এবার ফেসবুকে...

ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে এবার ফেসবুকে তুমুল তোলপাড়

রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার স্বামী মামুনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। নাটোরে সেই কলেজছাত্রকে বিয়ের প্রায় ৬ মাসের মাথায় খাইরুন নাহার নামে সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এর আগে গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এবার তার মৃত্যু নিয়েও ফেসবুক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সারমিন সুলতানা নামে একজন লিখেছেন- দুঃখজনক, এ সমাজ বড় খারাপ। আবুল হাসান লিখেছেন, ধিক্কার জানাই এই সমাজকে, তারা তো কোনো অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়নি। বয়সের তারতম্য হয়েছে তাকে কি, মনের মিলটাই বড়ো। মৃত্যুর কথা শুনে অনেক মর্মাহত হলাম।

জিসান রহমান লিখেছেন, হয়তবা তিনি প্রচুর ডিপ্রেশনে ছিলেন, আশেপাশের মানুষজনের কথা তিনি হয়তবা ভালোভাবে নিতে পারেননি। বিষয়টি দুঃখজনক। আরিয়ান জিসান আতিকের ভাষায়, এটা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না, হয়তোবা এই সমাজের কিছু নোংরা মানুষের জন্য আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন। সুমন নামে একজন লিখেছেন, কিছু মানুষের হিংসার কারণে ভালোবাসা হেরে যায়, এটাই তার বাস্তব উদাহরণ। অপরাধীদের শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। এভাবে আরও অনেকেই ওই শিক্ষিকার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। তারা এর সঠিক বিচার চান।

জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা। নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

Advertisement