গতকাল শুক্রবার (৭ এপ্রিল) একটি ভার্চুয়াল ইফতার অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনি মাগরিবের আযান দেন। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস, ইস্ট লন্ডন মসজিদ, লন্ডন মুসলিম সেন্টার ও টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টারফেইথ ফোরামের উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ইফতারের সময় সুরেলা কণ্ঠে আযান ভেসে আসে লন্ডনের বিখ্যাত টাওয়ার ব্রিজে। মক্কার পবত্রি মসজিদুল হারামের আযানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ওই আজান দেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবাসায়ী কাজি শফিকুর রহমান।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শফিকুর রহমান শৈশব থেকেই অত্যন্ত সুন্দর কণ্ঠে আযান দিতে পারেন। মক্কার মসজিদুল হারামের আযান অনুসরণ করে ছোটবেলা থেকে সুমধুর কণ্ঠের আযান দিতে অভ্যস্ত তিনি। তাই ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি মসজিদুল হারামের সুরে আযান দিয়ে সবাই মুগ্ধ করেন। কাজি শফিক মসজিদুল হারামের প্রধান মুয়াজ্জিন শায়খ আলি আহমদ মোল্লার সুর অনুসরণ করে আযান দেন। ১৯৭৫ সাল থেকে শায়খ মোল্লা মসজিদুল হারামে আযান দিচ্ছেন। মক্কা নগরীতে ভ্রমণ করা বিশ্বের মুসলিমরা তাঁর আজানের সুরের সঙ্গে খুবই পরিচিত।
লন্ডনের বিখ্যাত টাওয়ার ব্রিজে জনসম্মুখে আযান দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুবই অভিভূত শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে এ ধরনের সুযোগ আমার জন্য সত্যিই অবাক করার মতো। শফিকুর রহমান গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মসজিদ ও অনুষ্ঠানে আযান দিয়ে আসছেন। দ্বিতীয় বারের মতো এবার তিনি লন্ডনের বিখ্যাত স্থানে রমজানে ইফতারের আযান দিলেন।
গত বছর লন্ডনের অর্থনৈতিক কেন্দ্র ক্যানারি ওয়ারফে আযান দিয়ে শফিকুর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। দর্শকরা তাঁর আজানের ভিডিওটি কয়েক ১০ লাখের বেশি দেখে। আগামী বছরও তিনি শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের মতো বিশ্ববিখ্যাত স্থানে আযান দিতে চান।
শফিকুর বলেন, ‘গত বছর ক্যানারি ওয়ারফে আযান দিয়ে আমি উপলব্ধি করি যে আযান একটি শক্তিশালী বার্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমি তা বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে পারছি। অসংখ্য মানুষ আমার আযান দেখেছে ও শুনেছে। অনেক অমুসলিম আযান শুনে খুবই মুগ্ধ হয় এবং এটি আসলে কী তা জানতে অনুসন্ধান শুরু করে।’
সূত্র : আরব নিউজ