Homeসব খবরক্রিকেটআয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিকের সেঞ্চুরি

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিকের সেঞ্চুরি

বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভার। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ততক্ষণে আবারও নতুন করে লেখা হয়ে গেছে। সে কীর্তি গড়ার অন্যতম নায়ক মুশফিকুর রহিমের সামনে তখন দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাতছানি। তার জন্য শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন মুশফিকের। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে দুই রান নিলেন মুশফিক। পরের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের নিচু ফুল টসে ব্যাটের মধুর সংযোগে বল সীমানাছাড়া। ইনিংসের শেষ দুই বলে যথাক্রমে ২ এবং ১ রান নিয়ে দেশের জার্সিতে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া হয়ে যায় তার। ৬০ বলে ঠিক ১০০* রান পূর্ণ করে মুশফিক যখন বীরের বেশে মাঠ ছাড়ছেন, স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের রান দেখাচ্ছে ৬ উইকেটে ৩৪৯।

১৮৩ রানে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারা আইরিশদের সিরিজে ফিরতে হলে করতে হবে ঠিক ৩৫০ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে হয় বাংলাদেশকে। ফর্ম হাতড়ে বেড়ানো অধিনায়ক তামিম ইকবাল আরও একবার ভালো শুরুর পর ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন উইকেট। ব্যক্তিগত ২৩ রানে পড়েছেন রানআউটের ফাঁদে। লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশকে এনে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। তাদের ৯৬ বলে ১০১ রানের জুটিতেই আবারও রেকর্ড গড়ার স্বপ্নের শুরু।

লিটন-শান্ত দুজনই অবশ্য কাটা পড়েছেন ৭০-এর ঘরে। ব্যক্তিগত ৭০ রান যে ঢংয়ে অন সাইডে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন, সেটাকে উইকেট উপহার দেয়া বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না। ৭৭ বলে ৭৩ রান করা শান্ত আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এই দুজনের মাঝে প্যাভিলিয়নের পথ ধরা সাকিব ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি।

১৯০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে রেকর্ড রানের দিকে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা অবশ্য অভিজ্ঞ মুশফিকের সঙ্গে মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নাম তাওহীদ হৃদয়ের জুটির। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৭৮ বলে ১২৮ রানের বিস্ফোরক জুটিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিন শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। এডেইরের বলে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক থেকে এক রান দূরে থাকা হৃদয় ফিরলেও মুশফিক ব্যক্তিগত এবং দলীয় রেকর্ড দুটি নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন।

Advertisement