সারা দেশে নির্মিত ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৫০ টি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এসব মসজিদ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানানো হয়েছে, ৪০ শতাংশ জায়গার উপর তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা, উপজেলার জন্য ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ-ক্যাটাগরির প্রতিটি মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার ২০০ ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে পারবেন। আর উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন ৯০০ জন। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ এসব মসজিদে থাকছে নারী ও পুরষের পৃথক নামাজ ওযু নামাজের সুবিধা। রাখা হয়েছে প্রতিবন্ধীদের টয়লেটসহ নামাজের ব্যবস্থা। ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র, শিশুশিক্ষা, পর্যটকদের আবাসন, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণসহ ইমামদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রমের ব্যবস্থা।
এছাড়া পবিত্র কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধনসহ প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ গাড়ি পার্কিং, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সংস্কৃতি কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন উপ প্রকল্প পরিচালক সফিকুর রহমান তালুকদার জানান, আশা করা হচ্ছে এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় গোঁড়ামী ও ধর্মের অপব্যাখ্যা বন্ধ করে আলোকিত মানুষ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকার ৫৬০ টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২৩ সালের জুন মাসে।