আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ চলছে। কয়েকদিন পরে কোন কোন জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতে পারে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত দাবদাহ কমার সম্ভাবনা নেই। দেশের বেশিরভাগ জেলার চলমান দাবদাহ আগামী কয়েকদিনে আরও বেড়ে তীব্র দাবদাহে রূপ নিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে প্রতিদিনই তামপাত্রা বাড়ছে রাজশাহী। গতকাল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ বেলা ১টা পর্যন্ত রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাপা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চৈত্রের খরতাপ যেন আর কাটছেই না। রাজশাহীর প্রকৃতি যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। রাজশাহীতে শুরু হওয়া মাঝাতি তাপদাহে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। একটু শীতল পরশের জন্য ব্যকুল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। দিনে অগ্নিঝড়া হাওয়া, রাতে গোমট গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার। বৃষ্টির জন্য মানুষের মধ্যে যেনো হাহাকার পড়ে গেছে। তীব্র রোদে পুড়ছে বরন্দ্রের মাটি। আর এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে আমের গুটি ঝরে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
তবে, বিভিন্ন এলাকায় হিট পকেট সৃষ্টি হয়ে গরমের অনুভূতি এর থেকে বেশি ছিল। একদিকে রমজান মাস, তার উপর গরমের তীব্রতায় তৃষ্ণার্ত মানুষ ও প্রাণিকুলে নাভিশ্বাস উঠেছে। সেই সাথে জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। এই পরিস্তিতিতে শিশুদের প্রতি বিশেষ জত্ন নেয়া তাগিদ চিকিৎসকদের।
দেশের বেশিরভাগ জেলার চলমান দাবদাহ আগামী কয়েকদিনে আরও বেড়ে তীব্র দাবদাহে রূপ নিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কর্মকর্তারা বলছেন কয়েকদিনের মধ্যে ৪০ ডিগ্রির ওপরে যেতে পারে তাপমাত্রা। তবে সপ্তাহ খানেক পরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।