বেগুনি ধানের চাষ শুরু করেছেন এম এস রহমান নামে এক চাষি। তিনি চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন। তাকে দেখে গ্রামের চাষিরা এই বেগুনি ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সাদুল্লাপুর উপজেলার হিঙ্গারপাড়া গ্রামে বেগুনি ধানের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই বেগুনি ধানের ক্ষেত দেখতে গ্রামের সবাই ভির করছে।
এম এস রহমান সাদুল্লাপুর উপজেলার হিঙ্গারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় ছফিরন নেছা আব্দুল শেখ টেকনিক্যাল বিএম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ। এই কলজের সামনেই ৩৪ শতক জমিসহ পাশে ২২ শতক জমিতে বেগুনি ধানের চাষ শুরু করেন। ধান বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন বলে ধারণা করছেন। প্রথমবারেই তিনি ভালো ফলন পান।
চাষি এম এস রহমানের বলেন, বেগুনি ধানের চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠি। পঞ্চগড়ে এ ধানের বীজ পাওয়া যায় জানতে পেরে সেখান থেকে ১৮০০ টাকায় ৬ কেজি বীজ ধান কিনে নিয়ে আসি। এ ধানের চারা ২০/২২ দিন পর জমিতে রোপণের নিয়ম। কিন্তু ভুল করে এক মাস পর চারা রোপণ করেছি। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হবে। সেখান থেকে ৪০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছি। বাজারে বিক্রি করে লাভ করতে পারবো আশা করছি। এ বছর ৫৬ শতক জমিতে ধান চাষ করেছি।
বেগুনি ধানের পরিচর্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা নতুন ধান। আমার এ বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা নেই। সে কারণে স্বাভাবিক অন্যান্য ধানের মত করেই জৈবসার-কীটনাশকসহ অন্যান্য পরিচর্যা করা হচ্ছে। এ চালের ভাত থেকে শরীরে ডায়াবেটিস-ক্যানসারসহ নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। বেগুনি রঙের ধানের শিষ সাধারণ উফশী ধানের মতোই। জীবনকাল অন্যান্য উফশী ধানের মতোই ১৪০-১৫০ দিন। কুশির সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এ ধানের ফলন বেশি হয়।
গাইবান্ধা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, গত দু-এক বছর ধরে জেলায় বেগুনি ধান চাষের কোনো রেকর্ড ছিল না। চলতি আমন মৌসুমে সাদুল্লাপুর উপজেলায় এম এস রহমান নামে এক চাষি বেগুনি ধান চাষ করেছেন। সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার ধানক্ষেত পরিদর্শনসহ প্রয়োজনীয় পরাদর্শ দিচ্ছেন।