Homeসব খবরবিনোদনকালো জাদুর বাক্সে আটকে থাকা প্রিয় কবুতর বহুদিন পর...

কালো জাদুর বাক্সে আটকে থাকা প্রিয় কবুতর বহুদিন পর আকাশ দেখল : ফারুকী

গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারতীয় পরিবেশক সংস্থা রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের ভেরিফায়েড পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘শনিবার বিকেল’র ট্রেলার প্রকাশ করা হয়েছে। ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ট্রেলার দেখে নড়েচড়ে বসেছেন সিনেমাপ্রেমিরা।

তারকা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। আপিল কমিটি ডিসক্লেমার যুক্ত করে দেশে সিনেমাটি মুক্তির অনুমতি দিলেও সেন্সর সার্টিফিকেট না পাওয়ায় মুক্তির আলো দেখেনি ‘শনিবার বিকেল’। ‘শনিবার বিকেল’র ট্রেলার প্রকাশের পর খানিকটা স্বস্তিতে আছেন ফারুকী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের সঙ্গে নিজের ভালোলাগার অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।

গতকাল বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারুকী লিখেছেন, শনিবার বিকেলের ট্রেলারটা কালকে রাতে বের হওয়ার পর থেকে একটা অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে। মনে হচ্ছে, কালো জাদুর বাক্সে আটকে থাকা প্রিয় কবুতর যেন বহুদিন পর আকাশ দেখল।

তিনি আরও লেখেন, যারা যারা ট্রেলার শেয়ার দিচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার মেয়ে কোকোমেলেন দেখে খাওয়ার সময়। ওখানে প্রায়ই গায় ‘শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং!’ সো, শেয়ার চলতে থাকুক।

একজন অনুরাগীর চিঠির জবাবে নির্মাতা লিখেছেন, একজন একটা চিঠিতে লিখেছেন- ‘ভাইয়া, জাহিদ হাসান আর তিশা আপার স্টিল দেখে আমরা ভুল ভেবে আপনার বিরুদ্ধে লিখছিলাম। ট্রেলার দেখে পরিষ্কার হলাম।’ তার উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই, যেটা তার উসিলায় অনেকের জন্যই প্রযোজ্য হবে। ভাই, একটা স্টিল দেখে বা ট্রেলার দেখে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাইয়েন না। আপনি যদি একটা স্টিল দেখে বা ট্রেলার দেখে সব বুঝে ফেলতে পারেন, তাইলে আমার কষ্ট করে দেড় ঘণ্টার ফিল্ম বানানোর দরকারটা কি? তাই না? আমি তো তাহলে শুধু ট্রেলারই বানাতাম।

ফারুকী যোগ করেন, শনিবার বিকেলের ট্রেলার বানাতে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জে পড়েছিলাম, সেটা হচ্ছে সিনেমার অনেক গা হিম করা মুহুর্ত আছে বা ড্রামাটিক কনফ্লিক্ট আছে বা ভাববার জায়গা আছে, যেগুলোর কোনোটাই ট্রেলারে ব্যবহার করা যাচ্ছিলো না, গল্পের গোপন জায়গা উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে। অথবা গল্প সম্পর্কে একটা ভুল এবং একতরফা ধারণা হয়ে যাওয়ার ভয়ে। ফলে আমি বলব, সিনেমাটি দেখতে থিয়েটারে আসলেই সত্যিকার পরিষ্কার হতে পারবেন।

প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমেরিকা এবং কানাডায় যেসব বাংলাভাষী আছেন, ক্যালেন্ডারে মার্চের ১০ তারিখ মার্ক করে রাখবেন প্লিজ! মার্চ বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশেষ মাস। আর এই সিনেমাটি কেবল যে একটা ইমোশনাল সিনেমা তা তো নয়। ইমোশনাল সিনেমাতো বটেই, আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় আর কনফ্লিক্টের জন্যও হয়তো বিশেষ একটা সিনেমা হতে পারে।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরভিত্তিক পরিবেশক সংস্থা কন্টিনেন্টাল এন্টারটেইনমেন্ট পিটিই লিমিটেড (সিইপিএল) বিশ্বব্যাপী ‘শনিবার বিকেল’ পরিবেশনার দায়িত্ব নিয়েছে। রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমে আগামী ১০ মার্চ আমেরিকা ও কানাডায় সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এরপর পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যাবে।

Advertisement