Homeসব খবরজাতীয়‘এমন কোন চাপ নেই যা, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে...

‘এমন কোন চাপ নেই যা, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে, এটা মাথায় রাখতে হবে’

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন বাইরের চাপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: এমন কোন চাপ নেই যা, যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে।

সোমবার বিকালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি ৫ : সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন: আমার শক্তি একমাত্র দেশের জনগণ, উপরে আল্লাহ আছে; আর আমার বাবার আশীর্বাদের হাত আমার মাথায় আছে। কাজেই কে কী চাপ দিলো না দিলো, এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে আমাদের যেটা করার আমরা সেটাই করবো। জনগণের কল্যাণে যেটা করার সেটাই করবো। এরকম বহুচাপ-পদ্মা সেতুর আগে তো কম চাপ দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন: কোন একটা দেশের অ্যাম্বাসেডর থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে টেলিফোনের পর টেলিফোন, কেনো একটা ব্যাংকের এমডি পদে রাখতে হবে। এমডি পদে কী মধু সেটা তো আমি জানি না। আইনে আছে ৬০ বছর, হয়ে গেছে ৭০ বছর; তারপরও এমডি পদে থাকতে হবে। এমডি পদে থাকলে বোধহয় মানি লন্ডারিং করা যায়। পয়সা বানানো যায়। পয়সা মারা যায়। গরীবের রক্ত চুষে খাওয়া যায়। সেই চাপও কিন্তু শেখ হাসিনা সহ্য করে চলে আসছে। তারপরও নিজের পয়সায় পদ্মা সেতু বানিয়ে আমরা দেখালাম ওই চাপে আমাদের কিছু যায় আসে না।

গত ৪ মার্চ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি ৫ : সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে দেশটি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্টে তিনি অংশ নেন।

এর মধ্যে ৫ মার্চ জাতিসংঘ সম্মেলনের সাইডলাইনে কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) আয়োজিত ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন : মার্চিং টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাদের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি।

৬ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক একীভূতকরণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন তিনি।

গত ৮ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১২৬) তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

Advertisement