Homeসব খবরজেলার খবর৩৫ বিঘা জমিতে চাষ করে ৮০ লাখ টাকার ফুলকপি...

৩৫ বিঘা জমিতে চাষ করে ৮০ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রির আশা!

বিগত ২০ বছর যাবত ফুলকপি চাষ করে কখনো লোকসান গুনতে হয়নি। তার সফলতা দেখে অনেকেই ফুলকপি চাষ করে স্বচ্চল হয়েছেন। ফুলকপি চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষক মজিবুর রহমানের। বিদেশে থেকে ফেরত এসে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। প্রথমে অন্য কোনো সবজি নয়, শুধু ফুলকপি চাষ করে ঘুরান ভাগ্যের চাকা।

কৃষক মজিবুর রহমান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের চামারখাঁই গ্রামের বাসিন্দা। বিগত ২০ বছর যাবত তিনি ফুলকপির চাষ করে আসছেন। ফুলকপির চাষাবাদ করে বর্তমানে তিনি অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। বর্তমানে তারাও সফলতার মুখ দেখেছেন। তাকে সফল হতে দেখে অনেকে ফুলকপি চাষ করেন।

মানিকগঞ্জ জেলা ঢাকার কাছে হওয়ায় ব্যাপারিরা কৃষককের জমি থেকেই ফুলকপি কেটে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার বাজারগুলোতে নিতে পারছেন। সেই কারণে এই জেলার সবজির চাহিদা বেশি। অল্প সময়ে নিতে পারায় ফুলকপি তরতাজা থাকে, ভালো দামে বিক্রয় করতে পারে।

কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, আমি ২০০০ সালে দুবাই যাওয়ার পর ৪ মাস পরেই সেখান থেকে ফিরে আসি। বাড়িতে এসে ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ শুরু করি। তখন সব খরচ বাদ দিয়ে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তারপরের বছর ৩ বিঘা জমিতে চাষ করে লাভ করি ৫০ হাজার টাকা। এভাবেই প্রতি বছর চাষ বাড়াতে থাকি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এক জমিতে বছরে ৩ বার ফুলকপির চাষ করি। কপির চারা রোপনের পর ৪০-৫৫ দিনের মধ্যে ফুলকপি বিক্রয়ের উপযোগী হয়ে যায়। আগাম, শীতের শুরুতে আর শীতের শেষে।

মজিবুর আরও বলেন, এবছর আমি নিজের ২৫ বিঘাসহ আরো ১৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মোট ৩৫ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি। বর্তমানে ফুলকপির বাজারদর ভালো। আশা করছি ৮০ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবো। এতে আমার ২৫ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

একই এলাকার ফুলকপি চাষি রহমত শেখ বলেন, আমি সহ আরো কয়েকজন মজিবুরের ফুলকপি চাষ দেখে আগ্রহী হয়ে আমরাও ফুলকপির চাষ করি। আমরাও ফুলকপি চাষে সফল হয়েছি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে ফুলকপির চাষ করবো।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, মজিবুর রহমান একজন সফল কৃষক। তার জমিতে শ্রমিকের পাশাপাশিও তিনিও কাজ করেন। একই জমিতে ৩ বার ফুলকপির চাষ করে সফল হয়েছে। আমরা নিয়মিত কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। তার ফুলকপির চাষ দেখে এই ইউনিয়নের অনেক কৃষকরা ফুলকপির চাষ করছেন।

Advertisement