Homeঅন্যান্য২০ মণ ওজনের ময়নাকে বিক্রি করতে না পেরে হতাশ...

২০ মণ ওজনের ময়নাকে বিক্রি করতে না পেরে হতাশ খামারি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সব চেয়ে বড় কোরবানির গরু ৮০০ কেজি (২০ মণ) ওজনের ময়নার ক্রেতা ও উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়েছেন ক্ষুদ্র পশু খামারি আব্দুস সালম। জানা গেছে, বিদেশ ফেরত ক্ষুদ্র খামারি আব্দুস সালাম ৪টি গরু দিয়ে শুরু করে গরু লালন পালন। তার খামারে এখন ১২টি গরু আছে। ময়না ও রবিসহ ৪টি ষাঁড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরমধ্যে ছোট ২টি ষাঁড় বিক্রি করতে পারলেও সবচেয়ে বড় ৮০০ কেজি ওজনের ময়না ও ৪৪০ কেজি ওজনের রবিকে বিক্রি করতে না পারায় হতাশ হয়েছেন তিনি।

তিনি চেয়েছিলেন নিজ খামার থেকেই ময়না ও রবিকে বিক্রি করবেন। কিন্তু ক্রেতা না আসায় বিক্রি করতে পারলেন না। দুই একজন ক্রেতা আসলেও ময়নার দাম করেছেন মাত্র ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর রবির দাম করেছেন ২ লাখ টাকা।

এদিকে ময়নার পালন খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ। অথচ দাম করা হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এত লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করেননি তিনি। যদিও ময়নার দাম হেঁকেছিলেন ৫ লাখ টাকা। কারণ হিসেবে গরু ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের কোরবানির ঈদে বড় গরুর তেমন একটা চাহিদা ছিল না। মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা ছিল বেশি। যে কারণে বড় গরু বিক্রি করা যায়নি।

খামারি আব্দুস সালাম বলেন, ‘খুব কষ্ট কইরা নিজে না খাইয়া ময়নারে খাওয়াইছি। পশু খাদ্যের বাড়তি দাম দিয়ে ময়নার খাদ্যের জোগান দিছি। ময়নাকে লালন পালন করতে আমার প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হইছে। দাম হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর রবির দাম হয়েছে ২ লাখ। ক্রেতা না আসা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ষাড় দুটি বেচতে পারলাম না। এত কষ্ট করে বড় ষাঁড় গরু লালন পালন করে লাভ কি? ক্রেতা পাওয়া যায় না। আমি আর কষ্ট কইরা বড় গরু লালন পালন করমু না।

তিনি আরো বলেন, ‘এমন বড় গরু ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে না পারলে খামারিরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এজন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের আরো সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তা না হলে এক সময় ক্ষুদ্র খামারিরা আর বড় গরু লালন পালন করবে না’।

Advertisement