পরিবারের পরামর্শে গরুর খামার করে তিনি এই সফলতা পেয়েছেন। বর্তমানে তার খামারে ১০০টি গরু রয়েছে। খামার করে তাকে সফল হতে দেখে অনেক নারীরা উদ্যোগ গ্রহনে উৎসাহী হচ্ছেন। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের নারী উদ্যোক্তা জেসমিন আক্তার গরুর খামার করে সফল হয়েছেন।
নারী উদ্যোক্তা জেসমিন আক্তার জীবনের পথচলার শুরু করে কিছুটা হোঁচট খেলেও অনলাইনে গরুর খামার দেখে আগ্রহী হন। পরে পরিবারের পরামর্শে দুটি গরু দিয়ে খামার শুরু করে আজ তিনি সফল খামারি। বর্তমানে তার খামারে ১০০টি গরু রয়েছে। তার খামারে কাজ করে স্থানীয় অনেক যুবক ভালোভাবে জীবন যাপন করছেন। ১১৫ শতক জমিতে কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলেছেন গরু, ছাগল ও হাঁসের খামার। যা থেকে প্রতিমাসে তার আয় ১ লাখ টাকা।
জেসমিন আক্তার বলেন, অভাব থাকায় সংসার জীবন ধোঁয়াশার মধ্যে দিয়ে শুরু হ হয়েছিল। তারপর স্বামীর অনুপ্রেরণায় ও নিজের প্রচেষ্টায় খামার গড়েছি। দুটি গরু দিয়ে শুরু করি। একটু একটু করে এখন খামারে ১০০টি গরু রয়েছে। আমার সফলতার পেছনে আমার প্রচেষ্টা ও পরিবারের সমর্থন খুব বেশি কাজে দিয়েছে। গরুর খামারের পাশাপাশি আমার ১১৫ শতাংশ জমিতে ছাগল, হাঁস ও মাছের খামারও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার খামারে কয়েকজন শ্রমিক রয়েছে। যারা খামার নিয়মিত পরিচর্যা করেন। উদ্যোগ নিয়ে অল্প থেকে শুরু করলে একদিন সফলতার মুখ দেখা যাবেই। তারাও এখানে কাজ করে ভালোভাবে জীবন যাপন করছেন।
খামারের শ্রমিকরা বলেন, সীমান্তবর্তি এলাকা হওয়ায় এখানে কাজের খুব অভাব। তাই জেসমিন আক্তারের খামারে কাজ করছি। এখানে আমরা কেউ কেউ গরুর খামারে ও আরো কয়েকজন মাছ চাষে ও হাঁস পালনের কাজ করি। প্রতি মাসে যা বেতন পাই তাতে আমাদের সংসার খুব ভালোভাবে চলে যায়।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ আর এম আল মামুন বলেন, আমরা জেসমিন আক্তারের খামারটি পরিদর্শন করেছি। এধরনের উদ্যোগ যেন সবাই গ্রহন করে দেশে বেকারত্ব দূর করে আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।