Homeসব খবরজেলার খবরহালখাতা করেও ধারের অর্ধেক টাকা তুলতে পারলেন না শিক্ষক

হালখাতা করেও ধারের অর্ধেক টাকা তুলতে পারলেন না শিক্ষক

দিন শেষে ধার দেওয়া অর্ধেক টাকা উত্তোলন করতে পারেনি ওই শিক্ষক। অনুষ্ঠিত হলো বহুল আলোচিত বন্ধুদের ধার দেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য শিক্ষকের আয়োজন করা হালখাতা।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এমএএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল তার বন্ধুদের দেওয়া ধারের টাকা সময় মতো তুলতে না পেরে হালখাতার আয়োজন করেন। এই হালখাতার আয়োজনের দিন তারিখ ঠিক করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেনাদারদের চিঠি দেন তিনি। সেই চিঠিতে দেয়া নির্ধারিত দিন শুক্রবার বিকালে হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হালখাতার আয়োজনে কোনো প্রকার কমতি ছিল না। আন্ধারীঝাড় বাজারের সিঙ্গাড়া হটস্পট নামের একটি দোকানে আয়োজন করা হয় এই হালখাতার।

এ হালখাতা উপলক্ষে রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয় দোকানটি। পাতা হয় চেয়ার টেবিল। ক্যাশ বাক্সের সামনে সাঁটানো হয় শুভ হালখাতার ব্যানার। ধারের টাকা পরিশোধে আসা ব্যক্তিদের আপ্যায়ন করা হয় বিরিয়ানি দিয়ে। প্রতিজনকে দেয়া হয় প্যাকেট আকারে। কেউ খেয়ে গেছেন আবার কেউ নিয়ে গেছেন। টাকা পরিশোধের পর খাতা থেকে নাম কাটা গেছে তাদের। এই হালখাতায় আমন্ত্রিত ছিলেন শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের বন্ধু-বান্ধব যারা তার নিকট থেকে ধার গ্রহণ করে ছিলেন। এছাড়া এ হালখাতা দেখতে উপস্থিত ছিলেন উৎসুক জনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।

হালখাতায় টাকা পরিশোধ করতে আসা সোলাইমান ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষক আউয়ালের কাছ থেকে তিন ৩ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছিলেন। হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও আজ হাল খাতা করলাম। বিরিয়ানি খেয়ে দেয়ে ধারের টাকা পরিশোধ করেছি।

শিক্ষক আউয়াল জানান, দীর্ঘদিন যাবত ধার দেয়া টাকা তোলার জন্য তিনি হালখাতার আয়োজন করেছেন। হালখাতার চিঠি পেয়েই অনেকে সঙ্গে সঙ্গেই টাকা পরিশোধ করেছেন। শুক্রবার হাল খাতার দিন অনেকে টাকা পরিশোধ করেছেন। আবার অনেকে আসেনি।

আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল হালখাতার আয়োজন দেখতে এসে জানান, ধার বা হাওলাত সমাজের একটি চিরাচরিত নিয়ম। মানুষ যতদিন থাকবে ততদিন এই পন্থা থাকবে। তবে হাওলাত নেয়া টাকা ফেরত না দেয়ার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আজকে হাওলাতের টাকা তুলতে হালখাতা করতে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশে এর আগে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

Advertisement